কাঁথি: পকসো মামলায় সাজা ঘোষণা কাঁথি আদালতে। নিজের নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করার অপরাধে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হল দোষী সাব্যস্ত বাবা-কে। বুধবার কাঁথির বিশেষ পকসো আদালতে এই সাজা ঘোষণা করেন বিচারক অজয়েন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য। ২০১৮ সালে ওই ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর থানার উত্তর তেঁতুলিয়ায় ওই ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতা নাবালিকার মা ও বাবা স্থানীয় একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। দিনের বেশিরভাগ সময় ইটভাটায় কাটাতে হত তাদের। বাড়িতে দাদুর সঙ্গে থাকতেন ওই ১৪ বছরের নাবালিকা ও তার ভাই।
অভিযোগে জানানো হয়েছিল, ইটভাটায় কাজের ফাঁকে ওই নাবালিকার বাবা মাঝে মধ্য়েই ছেলে-মেয়েকে দেখে আসার অছিলায় বাড়িতে যেতেন। তখনই ১৪ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করতেন বলে অভিযোগ ওঠে। শুধু একবার নয়, বারবার ভয় দেখিয়ে নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ছিল বাবার বিরুদ্ধে।
ভয় পেয়ে প্রথমে মেয়ে চুপ করে থাকলেও, পরে মা-কে জানিয়ে দেয় বাবার কুকীর্তির কথা। সব জানতে পেরে প্রতিবাদ করতে গেলে স্ত্রী সহ ছেলে মেয়েকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এরপরই স্বামীর বিরুদ্ধে রামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নির্যাতিতার মা। অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো ধারায় মামলা দায়ের করে রামনগর থানার পুলিশ। নাবালিকার গোপন জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। সব প্রমাণের ভিত্তিতে গত ১৩ জানুয়ারি অভিযুক্ত বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
ওই পকসো মামলার সরকারি আইনজীবী দীপান্বিতা বেরা জানিয়েছেন, বিচারক দোষী বাবাকে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেছেন। জরিমানা অনাদায়ে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি নির্যাতিতাকে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আইনজীবী জানান, পকসো মামলায় এখনও পর্যন্ত কাঁথি মহকুমা আদালতে এটাই হল সর্বোচ্চ সাজা।