East Midnapore : দিতে হবে জমি, অন্যথায় বন্ধ রাস্তা, ফের মহিষাদলে খাপ পঞ্চায়েতের ছায়া
East Midnapore : স্থানীয় ক্লাবের বিরুদ্ধে খাপ পঞ্চায়েত বসানোর অভিযোগ মহিষাদলে। কাঠগড়ায় ক্লাব কর্তারা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছডিয়েছে গোটা এলাকায়।
মহিষাদল : গো-বলয়ের কোনও রাজ্য নয়, খোদ বাংলার বুকেই ক্রমশ চওড়া হচ্ছে খাপ পঞ্চায়েতের থাবা। চলতি মাসে মহিষাদলের চক-দ্বারিবেড়িয়া গ্রামে খাপ পঞ্চায়েতের খবর সাড়া ফেলেছে গোটা রাজ্যে। গ্রাম কমিটির বিরুদ্ধে অনৈতিক ভাবে ফতোয়া জারি করার অভিযোগে ওঠে। বৃহস্পতিবার ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল মহিষাদলেই। ক্লাবের নামে জমি লিখে দিতে আপত্তি। আর এই কারণেই মহিষাদল থানার কিসমত নাইকুন্ডির একটি পরিবারকে নানাভাবে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে। বিহিত চেয়ে এ ব্যাপারে পুলিশ ও ব্লক প্রশাসন এমনকী বিধায়কের দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা বিধবা বৃদ্ধা সবিতা পতি এবং তাঁর ছেলে দীপঙ্কর পতি। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় একটি ক্লাবের নামে জমি ও পুকুর লিখিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। ক্লাব সদস্যদের এই দাবি না মানায় চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে গত কয়েকদিন ধরে।
বৃদ্ধা সবিতাদেবীর অভিযোগ ক্লাব সদস্যদের দাবি না মানায় বাড়ির কেবল সংযোগ পুরোপুরি ভাবে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী পুকুর সত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রেও বাধা দেওয়া হয়েছে। আরও নানা ভাবে জোরজুলুম চলছে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, বাড়ির সামনে মদের আসার বসিয়ে অশ্লীল ভাষায় রাতভর গালিগালাজও করা হয়। ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না যাতায়াতের রাস্তা। রাস্তা ব্যবহার করতে গেলেই বাধা দিচ্ছে ক্লাবের সদস্যরা। এমন পরিস্থিতিতে মহিষাদল থানা এবং মহিষাদলের বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছেন বৃদ্ধার ছেলে দীপঙ্কর পতি। লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন। ঘটনা প্রসঙ্গে মহিষাদলের বিডিও যোগেশ চন্দ্র মণ্ডলের বক্তব্য, ‘এই ধরনের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।’ এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন,’সরকারি রাস্তা গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে ঢালাই হয়েছে। কে বা কারা বাধা দিচ্ছে তা খোঁজ নিয়ে দেখে আইনি ভাবেই ব্যাবস্থা নেওয়ার হবে।’
যদিও ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে অন্য তথ্য সামনে আনছে। এই প্রসঙ্গে এক ক্লাব কর্তা জানান,’পতি পরিবার ৯০ হাজার টাকা নিয়েছিল একটি দুর্ঘটনার সময়। কিন্তু সময় মতো ফেরত দেয়নি। পরে কথা হয় টাকার বদলে জমি দেবে। কিন্তু সেকথাও তারা রাখেনি। জমি আমাদের না দিয়ে অন্যদের সেই জমি বেচে দেয়। আমরা কারোও পথ আটকাইনি। সব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওরাই আমাদের ঠকিয়েছে।’ যদিও পতি পরিবারের সদস্য দীপঙ্কর পতির দাবি, ‘দুর্ঘটনার সময় ওরা টাকা দিয়েছিল ঠিক কথা। কিন্তু পরে টাকা আমরা ফেরত দিয়েছি। কিন্তু তাও তারা জোর অনৈতিক ভাবে। এখন দাবি করছে ওই বিপদের সময় দেওয়া টাকার সুদ বাবদ জমি দিতে হবে। এই অবস্থায় আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। দেখি কি হয়।’
আরও পড়ুন : Governor-Speaker clash : সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব রাজ্যপালের, পাশ থেকে ‘থামালেন’ স্পিকার