নন্দীগ্রাম: সমবায় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জেতার এক সপ্তাহের মধ্যে পরপর দুই তৃণমূল কর্মীকে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় এবার গ্রেফতার দুই বিজেপি কর্মী। ওড়িশা থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের নাম চন্দন দাস ও রাজকুমার মণ্ডল।
সম্প্রতি, নন্দীগ্রামে শ্রীকান্ড মণ্ডল ওরফে বিষ্ণুপদ মণ্ডলকে খুনের অভিযোগ ওঠে। বাড়িতে ঢুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। এই ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে মহাদেব শ্রীসাই (বিল্লা) নামের আরও এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী খুন হন। দুই ঘটনাতেই বিজেপির নাম জড়ায়। এই দুই খুনের ঘটনায় এই প্রথম গ্রেফতার হলেন কেউ। বিষ্ণুপদকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে চন্দন দাসকে। তবে শ্রীসাইকে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি কেউ। পুলিশ সূত্রে খবর, নন্দীগ্রামের কালীচরণপুর গ্রামের বাসিন্দা চন্দন দাস। অন্যদিকে রাজকুমার ৭ নম্বর জালপাই গ্রামের বাসিন্দা। এর মধ্যে চন্দনকে ওড়িশা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ বলে দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল কর্মীদের খুনের ঘটনার মধ্যেই সম্প্রতি সরানো হয় নন্দীগ্রাম থানার আইসি অনুপম মণ্ডলকে। বর্তমানে থানার দায়িত্বে রয়েছেন ডিএসপি তুহিন বিশ্বাস। তৃণমূলের অভিযোগ, অনুপম মণ্ডলের সঙ্গে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর যোগসাজস রয়েছে। এ দিকে, তুহিন বিশ্বাস দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই গ্রেফতার দুই বিজেপি কর্মী।