Digha Rath Yatra: সোনার ঝাড়ু দিয়ে ঝাঁট দেবেন মুখ্যমন্ত্রী, কখন শুরু হবে দিঘার রথযাত্রা? কী প্রসাদ পাবেন ভক্তরা, জেনে নিন সব তথ্য
Digha Jagannath Temple: নিম কাঠের বিগ্রহ রথে চেপে মাসির বাড়ি গেলেও, মন্দিরে থাকবে পাথরের বিগ্রহ। আগামী ৭ দিন দুই জায়গাতেই বিগ্রহ দর্শন করতে পারবেন ভক্তরা।

শুভজিৎ মিত্রের রিপোর্ট
দিঘা: দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর প্রথম রথযাত্রা, উন্মাদনা তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই লাখ লাখ পর্যটক ভিড় জমিয়েছেন দিঘার জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার রথের রশিতে টান দিতে। উপস্থিত রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। যাবতীয় ব্যবস্থাপনা তিনি নিজে তদারকি করছেন। দিঘায় কখন রথযাত্রা শুরু হবে জানেন? কোথা থেকে কতদূর যাবে রথ? জেনে নিন সব তথ্য।
পুরীতে যেমন রাজা স্বর্ণঝাড়ু দিয়ে রাস্তা সাফ করার পর এগোয় রথের চাকা, ঠিক তেমনই দিঘাতেও রথযাত্রা শুরুর আগে স্বর্ণঝাড়ু দিয়ে ঝাঁট দেবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত রয়েছেন ইস্কন কলকাতার সহ-সভাপতি রাধারমন দাসও। বৃহস্পতিবার থেকেই পুজোপাঠ শুরু হয়ে গিয়েছে। গতকালও জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রাকে ৫৬ ভোগ অর্পণ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে পুজোপাঠ শুরু হয়ে যাবে। দুপুর ২টো থেকে আড়াইটে অভিষেক মুহূর্ত। ঠিক দুপুর আড়াইটেয় গড়াবে রথের চাকা। প্রথমে আসবে সুদর্শন চক্র। তিনটি রথের প্রদক্ষিণ করবে। তারপর গিয়ে বসবে বলরামের রথে।
প্রথমে বড় দাদা বলরাম, তারপর বোন সুভদ্রা এবং সবশেষে রথে নিয়ে আসা হবে জগন্নাথদেবকে। নিম কাঠের তৈরি এই বিগ্রহগুলিকে নিয়ে যাওয়া হবে মাসির বাড়ি। পুরনো মন্দিরই দিঘায় জগন্নাথের মাসির বাড়ি। জগন্নাথ ঘাটের কাছে অবস্থিত এই মন্দির। নতুন মন্দির থেকে এর দূরত্ব দেড় কিলোমিটার।
নিম কাঠের বিগ্রহ রথে চেপে মাসির বাড়ি গেলেও, মন্দিরে থাকবে পাথরের বিগ্রহ। আগামী ৭ দিন দুই জায়গাতেই বিগ্রহ দর্শন করতে পারবেন ভক্তরা।

দিঘায় প্রস্তুত জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার রথ।
দিঘায় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার রথ থেকে মিলবে প্রসাদও। রথে জগন্নাথের জন্য থাকছে শুকনো খাবার যেমন মিষ্টি, গজা, ড্রাই ফ্রুটস। তবে রথে ভাত, ডাল বা খিচুড়ির মতো ভোগ দেওয়া হবে না। মাসির বাড়িতে থাকছে ৫৬ ভোগের এলাহি আয়োজন।
কলকাতায় দুর্গাপুজোর ভিড় সামলাতে অভ্যস্ত কলকাতা পুলিশ। দিঘার প্রথম রথযাত্রায় যাতে কোনও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, তার জন্য ভিড় সামলাতে উপস্থিত থাকছে কলকাতা পুলিশ। পুণ্যার্থীদের জন্য রাস্তার দুই ধারে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। ব্যারিকেডের সঙ্গে রথের দড়ি ছোঁয়ানো থাকবে। যেখানে বেশি ভিড় হবে, সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়াবে রথ, যাতে সকল ভক্তরা জগন্নাথের দর্শন করার এবং রথের দড়ি টানার সুযোগ পান।

