Midday Meal: ‘খাবারে টিকটিকি পড়লেও স্যারেদের ভয়ে খেতে হয়’, মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে অসুস্থ ১৩ কচিকাঁচা
Purulia: বুধবার সকালে স্কুল খোলার পর গ্রামবাসীরা শিক্ষক শিক্ষিকাদের ঘেরাও করেন। তারপর ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ।
পুরুলিয়া: মিড-ডে মিলের খাবার খেয়ে অসুস্থ প্রায় তেরো জন পড়ুয়া। তাদের সকলে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। আপাতত স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে সকলে।
পুরুলিয়া মফস্বল থানা তথা পুরুলিয়া ২ নম্বর ব্লকের কুস্টুকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। অভিভাবকদের অভিযোগ, মঙ্গলবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল খাওয়ার পর থেকে কয়েকজন ছাত্রছাত্রী শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করে। পরের দিন সকাল থেকেই তাদের পেট ব্যথা ও বমি শুরু হয় । এরপরই ছাত্রছাত্রীরা তাদের বাড়িতে ঘটনাটি জানায়। তখন আর বুঝতে বাকি না কারোর।
বুধবার সকালে স্কুল খোলার পর গ্রামবাসীরা শিক্ষক শিক্ষিকাদের ঘেরাও করেন। তারপর ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন । খবর পেয়ে হাসপাতালে অসুস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের দেখতে যান পুরুলিয়া ২ নম্বর ব্লকের বিডিও দেবজিৎ রায় ও মফস্বল থানার আইসি সঞ্জয় চক্রবর্তী, বিএমওএইচ ডঃ উমাশংকর সিং মুরা এবং ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। বিডিও দেবজিৎ রায় বলেন, ‘আমি অসুস্থ বাচ্চাদের দেখতে এসেছি। ওদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। জানতে পেরেছি যে মঙ্গলবার মিড ডে মিল খেয়েছিল ওরা। এরপর সন্ধের পর থেকে শরীর খারাপ শুরু হয়। বমি হয় কয়েকজন বাচ্চার। কারোর আবার বমি পায়খানা হয়। এরপর রাত্রের দিকে শরীর আরও বেশি খারাপ হতে শুরু করে। প্রায় কুড়ি-বাইস জন বাচ্চা রয়েছে। তাঁদের তিন-চারজনকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। তবে ভয়ের কিছু নেই। বাচ্চাগুলি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছে। আশা করছি প্রত্যেককেই খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। ঘটনার তদন্ত করা হয়েছে।’
অপরদিকে, এক অভিভাবক বলেন, মিড ডে মিল খাওয়ার পর ওরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অনেক সময় খাবারে বিষাক্ত টিকটিকি পড়ে। সেই ভাত না খেলে স্যাররা মারধর করবে। সেই ভয়ে বাচ্চারা খেয়েছে। এবার খাওয়ার পর থেকেই কারোর পেট ব্যথা, কেউ বমি করছে। এরপর ওদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’