TMC leader died: বেধড়ক মার, অসুস্থ হয়ে মৃত্যু তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যর
Purulia: ভোটের মুখে এমন ঘটনায় পুরুলিয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজনৈতিক কোনও যোগ এই ঘটনায় রয়েছে কি না তা নিয়েও নানামহলে প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগ, চার চাকার একটি গাড়িতে তিন চারজন ছিলেন। তাঁরাই প্রতুল মাহাতোর গাড়ির সামনে চলে আসেন। কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরপরই মারধর করা হয় তাঁকে ও তাঁর গাড়ির চালককে।
পুরুলিয়া: ওষুধ কিনে ফেরার পথে অচেনা কয়েকজনের সঙ্গে বচসা। তার জেরেই মৃত্যু হল পুরুলিয়ার জেলা পরিষদের সদস্যর। বরাবাজারে রবিবার বিকালে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম প্রতুল মাহাতো। তিনি জেলা পরিষদের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। তৃণমূলের দাবি, প্রতুলবাবুকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঝাড়খণ্ডের কয়েকজন যুবক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলেও দাবি শাসকদলের।
প্রতুল মাহাতোর বাড়ি রায়ডি বেড়াদা গ্রামে। বরাবাজার থেকে ওষুধ কিনে সেখানেই ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় রাস্তায় এই ঝামেলা হয়। পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন কমিটির দলীয় চেয়ারম্যান সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বরাবাজার থেকে ওষুধ কিনে নিয়ে ফিরছিলেন। পথে কিছু মাতাল প্রতুলের উপরে চড়াও হয়, ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। ঘটনাস্থলেই আধমরা হয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। এখনও অবধি তিনজন গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক সবটা। ও এলাকায় ভাল সংগঠক ছিল। তাই কীভাবে কী হয়েছে সেটা তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়।”
তবে ভোটের মুখে এমন ঘটনায় পুরুলিয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজনৈতিক কোনও যোগ এই ঘটনায় রয়েছে কি না তা নিয়েও নানামহলে প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগ, চার চাকার একটি গাড়িতে তিন চারজন ছিলেন। তাঁরাই প্রতুল মাহাতোর গাড়ির সামনে চলে আসেন। কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরপরই মারধর করা হয় তাঁকে ও তাঁর গাড়ির চালককে।
এই ঘটনার পরই প্রতুল মাহাতো অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে বরাবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশসুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, “আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি জেলা পরিষদের সদস্য মারা গিয়েছেন। আমরা তিনজনকে ধরেছি। পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখছি।”