Tigress Zeenat: আজ রাতেই কি ধরা পড়বে জিনাত? নতুন কোন পথ বার করল বনদফতর?
Tigress Zeenat: রেডিও কলারের সিগন্যাল দেখে বনদফতর জানতে পারেন বাঘিনি এই জঙ্গলে একই জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে আছে। বনদফতর গোটা জঙ্গলেকেই জাল দিয়ে ঘিরে দিয়েছে। তাছাড়াও জঙ্গলের ভেতরে টোপ দিয়ে পাতা হচ্ছে খাঁচা।
পুরুলিয়া: এখনও পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে চলছে ‘বাঘবন্দির খেলা’। রাইকা পাহাড় থেকে ঠিকানা বদল করে বাঘিনি এখন মানবাজার দুই নম্বর ব্লকের ডাঁগরডি বিটের পাঁইসাগোড়ার জঙ্গলে অবস্থান করছে। শুক্রবার ভোরে ওই বাঘিনি রাইকা পাহাড় থেকে কার্যত প্রাতঃভ্রমণ করতে করতে এসে পৌঁছয় পাঁইসাগোড়া জঙ্গলে। তবে এই জঙ্গলের আয়তন বড় নয় সব মিলিয়ে ১৮-২০ একর। তাই সকাল থেকেই বনদফতরের বিশেষ তৎপরতা দেখা যায়।
রেডিও কলারের সিগন্যাল দেখে বনদফতর জানতে পারেন বাঘিনি এই জঙ্গলে একই জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে আছে। বনদফতর গোটা জঙ্গলেকেই জাল দিয়ে ঘিরে দিয়েছে। তাছাড়াও জঙ্গলের ভেতরে টোপ দিয়ে পাতা হচ্ছে খাঁচা। টোপ হিসাবে ছাগল,মহিষ ও শূয়র দেওয়া হচ্ছে। সন্ধ্যা নামার আগে গোটা জঙ্গল জুড়ে বৃহস্পতিবার ভাঁড়ারি পাহাড়ের ধাঁচে হুলা পার্টিকে দিয়ে বাঘিনির খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ভোর বেলায় এই পাহাড়ে এসে উপস্থিত হয়। এই জঙ্গলে আসার সময় বিভিন্ন গ্রামের পাশে পায়ের ছাপ দেখতে পায়। বনদফতর সূত্রের খবর, সন্ধ্যার আগেই ৪টি ট্রাঙ্কুলাইজারের দল এই জঙ্গলে যাওয়ার কথা রয়েছে। আশা করেছেন শুক্রবারই ধরা পড়বে চতুর এই বাঘিনি। এখন শুধুই অপেক্ষা কখন বনদফতরের পাতা ফাঁদে পা দিচ্ছে বাঘিনি।
নাকি বনদফতরকে বোকা আবারও অন্য কোন জঙ্গলে পালিয়ে যায়। এই জঙ্গলের আশপাশের গ্রামের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই ডাঁগরডি এলাকায় একটি সাপ্তাহিক হাট ছিল বন দফতরের পক্ষ থেকে প্রচার করায় হাটে কোনও কেনা বেচা করতে আসেনি মানুষ। আজ কি সফল হবেন বনকর্মীরা, এখন সেটাই দেখার।