কলকাতা: আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহেই রাজ্যে হতে পারে বিধানসভা নির্বাচন (West bengal assembly election )। ছয় দফায় হতে চলেছে এই নির্বাচন। ফল ঘোষণা হতে পারে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জোর জল্পনা চলছে। রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন। সূত্র অনুযায়ী, সেই বৈঠকেই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঠিক হতে পারে।
নির্বাচনের দিন ঘোষণা না হলেও প্রতিটি রাজ্যনৈতিক দলই জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রচারে নেমেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধী দলের তকমা ঝেড়ে ফেলে রাজ্য দখল করতে চায় কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। তারজন্য একদিকে যেমন নির্বাচনী প্রচারে হাজির হয়েছেন অমিত শাহ, জে পি নাড্ডার মতো তাবড় তাবড় নেতারা। তেমনই, নির্বাচনের আগে শুরু হয়েছে দল ভাঙানোর খেলাও। বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হাত মিলিয়েছে কংগ্রেস ও সিপিআইএম।
আরও পড়ুন: প্রথম দফার ভ্যাকসিন প্রাপকদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী
রাজ্যে বিগত নির্বাচনগুলির চিত্র মাথায় রেখেই কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করানো যায়, সেটাই এখন গুরু দায়িত্ব হিসাবে চেপে বসেছে কমিশনের কাঁধে। পাশাপাশি, করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, তাও খতিয়ে দেখবে নির্বাচন কমিশন।
সূত্র অনুযায়ী, আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শুরু হতে পারে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। করোনাবিধি ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করতে ছয় দফায় হতে পারে নির্বাচন। এরপর ফল ঘোষণা করা হবে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে।
নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই রাজ্য রাজনীতির সমীকরণে আমুল পরিবর্তন এসেছে। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর পিছু পিছুই বিজেপিতে গিয়েছেন আরও অনেক তৃণমূল নেতা। অন্যদিকে, রাজ্যবাসীর মন জয় করতে তৃণমূলের তরফে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্র্রী, রূপশ্রী সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। একইসঙ্গে বিনামূল্যে করোনা টিকাদান নিয়েও জোরদার প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছে জোড়াফুল-পদ্মফুলে।
আরও পড়ুন: ‘ষড়যন্ত্র করে আগুন লাগাচ্ছে তৃণমূল’, বিস্ফোরক অভিযোগে সুজিতকে নিশানা সায়ন্তনের