Baruipur Murder Case: কেন মেরেছেন স্বামীকে? সাংবাদিকের মুখে এই কথাটা শুনেই প্রাক্তন নৌসেনাকর্মীর স্ত্রী বললেন…
Baruipur Murder Case: যে করাত দিয়ে দেহটি টুকরো করা হয়েছি, তার খোঁজেই পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে চলছে তল্লাশি। খোঁজ চালানো হচ্ছে পাশের জঙ্গলেও।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: “অত্যাচার করতেন, প্রচণ্ড অত্যাচার করতেন, মারধর করতেন ভীষণ….” এবার মুখ খুললেন বারুইপুরের প্রাক্তন নৌসেনাকর্মী খুনে অভিযুক্ত তাঁর স্ত্রী। রবিবার সকালে জেল থেকে তাঁকে বার করে পুলিশের গাড়িতে তোলা হচ্ছিল। সে সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্রেফ এই একটা লাইনই বলেন নিহত প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর স্ত্রী। সাংবাদিকরা তাঁকে আরও একাধিক প্রশ্ন করেছিলেন। কিন্তু আর কোনও উত্তর দেননি। নির্বিকার চিত্তে শুধু বলেন, “ভীষণ মারধর করতেন উনি…”। দিল্লির শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড গোটা দেশকে কাঁপিয়েছে। তার দু’দিনের ব্যবধানে প্রকাশ্যে এসেছে বারুইপুরের প্রাক্তন নৌসেনাকর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীর হত্যাকাণ্ড। খুনের পর দেহের পাঁচটি টুকরো করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় খুনের কথা কবুল করেছেন অভিযুক্ত ছেলে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোষ কবুল করেছেন স্ত্রীও। রবিবার সকালে ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই সেই পানাপুকুরে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। সেখান থেকেই প্রথম উদ্ধার হয়েছিল প্রাক্তন নৌসেনাকর্মীর বস্তাবন্দি দেহের টুকরো। যে করাত দিয়ে দেহটি টুকরো করা হয়েছি, তার খোঁজেই পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে চলছে তল্লাশি। খোঁজ চালানো হচ্ছে পাশের জঙ্গলেও। আশপাশের স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় ভিড় জমিয়েছেন।
বারুইপুরে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর খুনের ঘটনায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর মোড়। উজ্জ্বল চক্রবর্তীর দেহ উদ্ধারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনের কিনারা করে ফেলেছে পুলিশ। তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তাতে তাজ্জব বনে গিয়েছেন দুঁদে পুলিশকর্তারাও। উঠে এসেছে গার্হস্থ্য হিংসার তত্ত্ব।
জানা যাচ্ছে, প্রাক্তন নৌসেনাকর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তী দীর্ঘদিন ধরেই স্ত্রীর ওপর অত্যাচার করতেন। মদ্যপ অবস্থায় তাঁর ওপর অত্যাচার করতেন। মাকে রোজ কাঁদতে দেখতেন পলিটেকনিক ছাত্র। দীর্ঘদিনের বাবার অত্যাচার সহ্য করতে পারেননি ছেলেও। নেশার জন্য ছেলের পড়াশোনার খরচও দিতেন না বলে অভিযোগ। উজ্জ্বল চক্রবর্তী যে তাঁর স্ত্রী-ছেলের ওপর অত্যাচার করতেন, তা একবাক্যে স্বীকার করেছেন প্রতিবেশীরাও। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদেরও এই বিষয়টি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান ছিল।
জানা যাচ্ছে, ১৪ নভেম্বর রাতেই খুন হয়েছিলেন উজ্জ্বল। এরপর প্রমাণ লোপাট করতে দেহ বাথরুমে নিয়ে গিয়ে ৬ টুকরো করা হয়। অভিযোগ, এরপর রাতে ছেলে বাবার দেহের প্লাস্টিক মোড়া টুকরো ফেলে সাইকেল করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ফেলে দেন। প্রথম টুকরো ফেলা হয় এই পানাপুকুরেই। সেখানে ফেলা হয় দেহ কাটতে ব্যবহৃত করাতও। আপাতত সেই করাতের খোঁজেই তদন্তকারীরা।