Bhangar Murder: ‘দাদা তোরা সব নে, শুধু আমাকে ছাড়…’ চরম মুহূর্তেও মুখ দিয়ে নিজেদের দাদাদের স্রেফ এই আর্জিই করেছিলেন প্রৌঢ়া
Bhangar Murder: ঘটনায় ইতিমধ্যেই ভাঙড় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ মৃত আরবানি বিবির দুই ভাই ও এক ভাইপোকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: চার বিঘা জমিটা নিয়েই যত সমস্যা। কারণ ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েকেও সেই জমির ভাগ দিয়েছিলেন বাবা। আর সেটাই ক্ষোভের কারণ। বোনকে জমির ভাগ নিতে দেবেন না দাদারা।বেশ কয়েক মাস ধরে সমস্যা চলছিল। পরিবারের অনান্য সদস্য ও প্রতিবেশীদের মধ্যস্থতায় ঝামেলা মিটেও যেত। কিন্তু বোনের ওপর রাগ ছিল দাদাদের। আর তাতেই চরম সিদ্ধান্ত। বোনকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল চার দাদার বিরুদ্ধে। ভয়ঙ্কর ঘটনা ভাঙড়ের ঝিজিরআইটের গ্রামে। মৃত মহিলার নাম আরবানি বিবি (৪৬)। অভিযুক্ত তিন জনকেই ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরবানির বাবা মনসুরা ঘড়ামির সাড়ে চার বিঘা চাষের জমি রয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে তাঁর মৃত্যু হয়। সেই জমির ভাগ নিয়ে ভাইবোনদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। মাঝেমধ্যেই সেই ঝামেলা হত। আবার মিটেও যেত। বুধবার সন্ধ্যায় আবারও সেই একই ইস্যুতে ঝামেলা হয়। চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে পড়শিরাও ছুটে আসেন। প্রথমে একেবারেই পারিবারিক বিবাদ ভেবে তাতে বিশেষ আমল দেননি। কিন্তু সেই বিবাদের মধ্যে পড়ে ওই মহিলার ভয়ঙ্কর অবস্থা হতে থাকে। অভিযোগ, ঝগড়া চলাকালীনই তাঁর ওপর একসঙ্গে চড়াও হন দাদারা।
অভিযোগ, তাঁকে বাঁশ-লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। মাটিতে ফেলেও মারধর করা হয়। প্রতিবেশীদের দাবি, সে সময় ওই মহিলাকে বলতেও শোনা গিয়েছে, ‘ছেড়ে দে,জমি নে, আমাকে ছেড়ে দে তোরা…’ কিন্তু কোনও কথাতেই কান দেননি তাঁরা। এক নাগাড়ে মেরে গিয়েছিলেন। যতক্ষণে প্রতিবেশীরা এসে আটকেছেন, দেরি হয়ে গিয়েছে অনেক। রক্তাক্ত অবস্থাতেই মাটিতে পড়ে ছিলেন ওই মহিলা। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে নলমুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার।
ঘটনায় ইতিমধ্যেই ভাঙড় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ মৃত আরবানি বিবির দুই ভাই ও এক ভাইপোকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার বারুইপুর আদালতে পেশ করা হচ্ছে তাঁদের। অভিযুক্তরা অবশ্য এ বিষয়ে কোনও কথাই বলেননি।