দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সকালে উদ্ধার হয়েছিল দুজনের দেহ। কিন্তু তখনও ৬ জন মৎস্যজীবীর খোঁজ মিলছিল না। বাড়ছিল উদ্বেগ আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চরম খবর আসার সম্ভাবনাও। কেবিনের ভিতরেই আটকে ছিল শরীরগুলো। ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছিল নিঃসার শরীরগুলোতে। এখনও পর্যন্ত এক জন নিখোঁজ। মৎস্যজীবীরা মনে করছেন, নিখোঁজ ব্যক্তি কোনওভাবে ট্রলার থেকে বাইরে বেরোতে পেরেছিলেন। সমুদ্রে তলিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন। মাছ ধরতে গিয়ে বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে যায় এফবি ট্রলারটি। আপাতত দেহ শনাক্তকরণের জন্য কাকদ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার গভীর রাতে সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে উল্টে গিয়েছিল এফবি গোবিন্দ নামক ট্রলারটি। ট্রলারে থাকা ১৭ জন মৎস্যজীবীর মধ্যে আটজনকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ ছিলেন ৯ জন। ওই ট্রলারটিকে উদ্ধার করতে আটটিরও বেশি ট্রলার মাঝ সমুদ্রে যায়।
তারপর ওই ট্রলারটিকে উদ্ধার করে হরিপুরের অদূরে লুথিয়ান দ্বীপের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু জোয়ার থাকায় প্রথমে উদ্ধারকার্যে বিঘ্ন ঘটছিল। পরে ধীরে ধীরে কেবিনের ভিতর ঢোকেন মৎস্যজীবীরা। মৎস্যজীবীদের দেহ উদ্ধারের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মন্টুরাম পাখিরা।