বামনঘাটা: এবার ‘জমি বাঁচাও’ আন্দোলনের পথে নামল ভাঙড়ের চাষিরা। আজ সকালে ভাঙড়ের বামনঘাটার কৃষকরা নিজেদের জমি বাঁচাতে পথে নামলেন। বামনঘাটা বাজার সহ পাশ্ববর্তী এলাকায় বিক্ষোভ ও মিছিল করলেন তাঁরা।
এলাকায় সাহেব ভেড়ির নামে কৃষজ প্রায় ৬৭ বিঘে জমির মধ্যে ২৭ বিঘে জমি ইরিগেশন দফতর ও কেএমসি জোর করে দখল নিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ চাষিদের। জমি সরকারের হলেও দীর্ঘদিন ভোগ দখলে থাকা চাষিদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া দরকার। দাবি এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের।
বাসন্তী হাইওয়ের উপর বামনঘাটা সাহেব ভেরি। জানা গিয়েছে, সেখানকার প্রায় ষাটষট্টি বিঘা জমি দখল নেয় এলাকার কৃষকরা। ইরিগেশন দফতর ৬২ সালে এলাকার পঞ্চানন নস্কর নামের এক ব্যক্তির নামে রেকর্ডও করে। পরে পঞ্চানন নস্কর এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে লিজ হিসাবে জমি দান করে। তখন থেকেই এলাকার কৃষকরা চাষ করে আসছেন এই জমিতে। অভিযোগ চাষিদের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই গত ২৪ তারিখ বুধবার ইরিগেশন দফতরের আধিকারিক ও কেএমডিএ এর আধিকারিকরা সাহেবভেড়িতে উপস্থিত হয়ে জমি মাপতে শুরু করেন।
এরপরই সন্দেহ হয় কৃষকদের। তাদের মধ্যে কেউ-কেউ জানতে চান কেন তাঁদের জমি মাপা হচ্ছে। এরপর অভিযোগ, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশকে দিয়ে ওই কৃষকদের এলাকা ছাড়া করা হয়। দীর্ঘদিন দখলে থাকা জমি কেন জোর করে দখল নেওয়া হচ্ছে কোনও রকম আলোচনা ছাড়া তাই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এদিকে, জমি বাঁচাও আন্দোলনকারিদের আন্দোলন সমর্থন করেছেন এলাকার সিপিআইএমের নেতৃত্বরা।
এই ঘটনায় এক কৃষক বলেন, “এতদিন সমস্যা ছিল না। এখন নতুন করে এরা সমস্যা শুরু করেছেন। আমি একাধিকবার প্রশাসনিক কর্তাদের অনুরোধ করেছি যে আপনাদের কাছে যদি অর্ডার কপি থাকে আমাদের দেখান। জোর করে এইভাবে জমি ছিনিয়ে নেবেন না। কিন্তু ওনারা কোনও অর্ডার কপি দেখাতে পারেননি।এরপর বিকেলবেলা পুলিশ এসে আমদের জমি থেকে উচ্ছেদ করল। আমাদের জমি নিয়ে নিলে খাব কী?সরকার আলোচনা করতেই পারত আমাদের সঙ্গে। কিন্তু কিছুই করল না। জানালই না।”
এদিকে, গতকাল জলপাইগুড়িতে জমি বাঁচাও এর ডাক কৃষকদের। ফোর লেন রাস্তা তৈরি হবে। তার জন্য লাগবে জমি। কিন্তু নিজেদের চাষাবাদের জমি কিছুতেই ছাড়তে চান না কৃষকরা। সোমবার থেকে নতুন করে অনিচ্ছুক কৃষকদের আন্দোলন শুরু হল ধূপগুড়িতে। জমি দিতে তাঁরা অস্বীকার করেছিলেন আগেই কৃষকরা আগেই, চলছিল পালা করে জমি পাহারা দেওয়ার কাজ। এবার চাষের খেতে রীতিমতো পোস্টার ও ব্যানার লাগিয়ে ভূমি রক্ষা কমিটি গঠন করে শুরু হয় আন্দোলন।
আরও পড়ুন: Mukul Sangma: হাজার হাজার কংগ্রেস কর্মীর কথা ভেবেই আমাদের এই সিদ্ধান্ত: মুকুল সাংমা