Illegal Construction near Police Station: বাজারের অস্থায়ী দোকান তুলে তৃণমূলের পার্টি অফিস, পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করেই অবৈধ নির্মাণ!
Bhangar: অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে সেখানেই একটি চালাঘর ভেঙে কংক্রিটের একটি স্থায়ী দোকানঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রথমে দোকান ঘর করার কথা বলা হলেও পরে সেটি তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় করা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় এক নেতা
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: থানার থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বাজারের অস্থায়ী ছাউনি ভেঙে সেখানে রাতারাতি বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠল শাসকদলের (TMC) বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে বেআইন ওই নির্মাণ বন্ধ করে।পুলিশকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দুপুরে আবার নির্মাণ কাজ শুরু করে অভিযুক্তরা। বিকেলে আবার পুলিশ (Police) কাজ বন্ধ করে দেয়। রবিবার, কাশীপুর বাজারের ঘটনা এটি। বাজারে কয়েকাটা জমির ওপর একসময় সপ্তাহে দুদিন হাট বসলেও এখন সেখানে সপ্তাহে সাতদিন বাজার বসে।সব্জি,মাছ,মাংস সবই বিক্রি হয় বাঁশ ও ত্রিপলের অস্থায়ী কাঠামোর নিচে।
অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে সেখানেই একটি চালাঘর ভেঙে কংক্রিটের একটি স্থায়ী দোকানঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রথমে দোকান ঘর করার কথা বলা হলেও পরে সেটি তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় করা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় এক নেতা। যদিও বিরোধিরা প্রশ্ন তুলেছেন,ওই বাজারে তৃণমূলের একটি বড় অফিস থাকলেও বাজারের প্রবেশদ্বার অবরুদ্ধ করে কেন স্থায়ী দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। তাহলে কি পুরো বাজারটা প্রমোটার চক্রের হাতে তুলে দেওয়া হবে? সরকারী খাস জমিতে এ ভাবে ইটের দেওয়া তুলে দোকানঘরের নির্মাণকাজ করায় কেন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।
যদিও বেআইনিভাবে এমন নির্মাণ সমর্থন করছেন না সমর্থন করছেন না তৃণমূলের কার্যনিবাহী ব্লক সভাপতি আব্দুর রহিম। তিনি জানিয়েছেন, এভাবে খাস জায়গায় স্থায়ী দোকান করা যায়না। যাঁরা দলীয় কার্যালয় তৈরি করছেন তাঁরাও দল বিরোধী কাজ করছেন বলেই জানিয়েছেন তৃণমূল। অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহসিন মোল্লা বলেন, “ওই জায়গায় বাজার কমিটির একটি অফিস নির্মাণ করা হচ্ছিল। তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তবে বেশ কিছু সাধারণ মানুষ আপত্তি জানিয়েছে। সেখানে থেকেই সমস্যা।
স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “অনেকদিন ধরেই কাশীপুর বাজারে কোনও বাজার কমিটি নেই। সরকারি খাস জমি দখল করতে শাসক দলেরই মদতপুষ্ট কয়েকজন রাতারাতি হাট ভেঙে পাকা ঘর তৈরি করতে শুরু করেছিল। এখানে জমি নিয়ে ঝামেলা তো নতুন ঘটনা নয়।” এলাকাবাসী সকলেই এক বাক্যে বলছেন, ভাঙড়ে জমি-জটের সমস্য়া দীর্ঘদিনের সেই সমস্যা দ্রুত মেটানো দরকার। নয়তো বিপদে পড়েন সাধারণ মানুষই। রাতারাতি সরকারি খাস জমি বিভিন্ন সময়ে দখল করে নিয়েছে কোনও রাজনৈতিক দল। যা নিয়ে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, বোমাবাজি, এলাকায় বাকি ছিল না কিছুই। এ বিষয়ে ভাঙড় ২ ব্লকের বিডিও কার্তিক চন্দ্র রায় ও বারুইপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকসাদ হাসান জানিয়েছেন গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা