বাসন্তি: প্রায় সব শেষের পথে ওদের। পুজোর আগে বন্যা একে কেড়ে নিয়েছে সব কিছু। এখন আবার নদী ভাঙন। সব হারিয়ে সর্বহারা হয়ে গিয়েছেন ওরা।
হোগল নদীর ভাঙনের কবলে বাসন্তীর রাধাবল্লভপুর গ্রাম। এবার ধসে গেল ঢালাই রাস্তা। ভাঙনের জেরে গতকাল ভোরেই নদী গর্ভে তলিয়েছে ১৬টি বাড়ি। আজ রাধাবল্লভপুরের কংক্রিটের চওড়া রাস্তা ধসেছে। জায়গায়-জায়গায় মস্ত ফাটলও ধরেছে। ইতিমধ্যেই রাধাবল্লভপুরের বহু গ্রামবাসীকে ফ্লাড সেন্টারে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে প্রশাসন।
নদী ভাঙন ক্রমশ বেড়েই চলেছে সুন্দরবনের বাসন্তী গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধাবল্লভপুর গ্রামে। গতকাল সকালেই আচমকাই জোয়ারের সময় হোগল নদী গর্ভে একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়তে থাকে। গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা সেই সময় নদীর জলে পড়ে গেলেও স্থানীয় মানুষের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে যান।
বাড়ি ঘর নদীতে ভেঙে পড়ে যাওয়ায় সমস্ত জিনিসপত্র চোখের সামনে কার্যত হারাতে হয়েছে বাসিন্দাদেরকে। তারপর থেকেই কার্যত তাঁবুতে, স্কুল বাড়ি কিংবা আত্মীয়দের বাড়িতে কেউ কেউ রাত কাটিয়েছেন।
এদিকে ভাঙন যে থামার কোনও নামই নেই তা বোঝা গিয়েছে আজ সকালে। এদিন আবারও এলাকার যোগাযোগের একমাত্র কংক্রিট ঢালাই রাস্তাটি নদীগর্ভে ভেঙে পড়েছে। এর দরুণ গ্রামের মধ্যে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ভাঙন ঠেকাতে ইতিমধ্যেই গ্রাম পঞ্চায়েতকে সঙ্গে নিয়ে সেচ দপ্তর বিকল্প পাল্টা রিং বাঁধ দেওয়ার কাজে লাগিয়েছে। নদী ভাঙন যেভাবে শুরু হয়েছে তাতে যা আগামী দিনে ওই এলাকায় মানুষের বাস করা দুরূহ হয়ে পড়বে।
একই সঙ্গে পুজোর ক’দিন আগেই বাড়িঘর সব কিছু হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এলাকার অনেক বাসিন্দা। ঠাকুর দেখতে যাওয়া তো দূরের কথা সমস্তকিছুই চোখের সামনে গ্রাস করেছে হোগল নদীর জল। নদী ভাঙন যে তাঁদেরকে রাতারাতি পথে বসিয়ে দেবে তা কখনও ভাবতে পারিনি রাধাবল্লভপুরের হতদরিদ্র মানুষরা।
আরও পড়ুন: Thalassemia: শতাধিক থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে সেচ্ছাসেবী সংগঠন
আরও পড়ুন: Aryan Khan arrest case: এবার এনসিবি জেরার মুখে ‘বলিউড বাদশার’ গাড়ি চালক, ড্রাগ মামলায় নয়া মোড়
আরও পড়ুন: Post Poll Violence: সিবিআইয়ের তালিকা থেকে বাদ সুফিয়ান, গ্রেফতার তাঁর জামাই-সহ ১১ তৃণমূল কর্মী