জয়নগর: শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশের সঙ্গে জুড়ে যায়নি। বিজেপি নেতারা বারবার একথা বলেন। এবার সেকথা শোনা গেল ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সাধু কার্তিক মহারাজের কণ্ঠে। মঙ্গলবার জয়নগরে সহস্র কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে কোনও রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করেই তাঁর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে আজ ঘাসফুল, পদ্মফুল ফুটছে তাঁরই অবদানের জন্য।
রামনবমী কমিটির উদ্যোগে এদিন জয়নগরের দক্ষিণ বারাসতের রেল ময়দানে সহস্র কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ অংশ নেন। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন কার্তিক মহারাজ।
দিন দুয়েক আগেই কার্তিক মহারাজকে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করেছে কেন্দ্র। সেই নিয়ে বিরোধীরা তাঁকে নিশানাও করেছে। কার্তিক মহারাজ অবশ্য তাঁর জবাবে বলেছেন, “যাঁর যেরকম দৃষ্টি, সেই অনুযায়ী ব্যাখ্যা করবেন। কেউ বলবেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ। কেউ আবার বলবেন দিদির আশীর্বাদ। নিঃসন্দেহে দিদি আমাকে আশীর্বাদ করেছেন। তিনি আমার নাম আরও ব্যাপক আকারে প্রচার করেছেন।”
আর এদিন সহস্র কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা বললেন তিনি। আর সেকথা বলতে গিয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টানলেন। বললেন, “এখানে কোনও ঘাসফুল ফুটত না, পদ্মফুল ফুটত না, যদি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ সৃষ্টি না করতেন।” বিজেপির সুরেই তিনি বুঝিয়ে দিলেন, শ্যামাপ্রসাদের জন্যই পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশের সঙ্গে জুড়ে যায়নি।
এই অনুষ্ঠান করার কারণ নিয়ে রামনবমী কমিটির তরফে বলা হয়, “বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সবাই দেখছেন। সেখানে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গেও সনাতনী হিন্দুদের অস্বস্তি রক্ষার লড়াই শুরু হয়েছে। হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ও জাগ্রত করার চেষ্টা করছি। বাংলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাজুড়ে এইরকম কর্মসূচি নিচ্ছি আমরা।”