Canning: দীর্ঘদিনের প্রেম, ফোনে কথাবার্তা, রাত্রিবেলা হঠাৎ ঘরের মধ্যেই ছাত্রীর অবস্থা দেখে স্তম্ভিত সকলে
South 24 pargana: পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় বছর তিনেক আগে ক্যানিংয়ের বাসিন্দা উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি অভিযুক্তের।
ক্যানিং: প্রথমে প্রেম নিবেদন, তারপর ফোনে কথোপকথন এবং দেখা সাক্ষাতের মধ্যে দিয়ে তৈরি হওয়া সম্পর্ক। এতদূর সব ঠিকই চলছিল। সেই সম্পর্কের গভীরতা বাড়তেই যেন হয়েছিল ‘শেষের শুরু।’ বিয়ের প্রস্তাব এবং বিশ্বাসে ভর করে প্রেমিকের দেওয়া সহবাসের প্রস্তাবেও রাজি হয়েছিল উচ্চমাধ্যমিকের পড়ুয়া। কিন্তু তারপর? বিয়ের ‘সিদ্ধান্ত’ থেকে সরে আসে প্রেমিক। শেষমেশ তাই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় অসহায় প্রেমিকা। যদিও, পরিবারের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে যায় সে। এদিকে, ঘটনার পর ওই ছাত্রীর পরিবারের তরফে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত যুবকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় বছর তিনেক আগে ক্যানিংয়ের বাসিন্দা উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি অভিযুক্তের। জানা গিয়েছে, যুবক ওই এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ, দু’জনের সম্পর্ক শুরুর দিকে আর পাঁচটা সম্পর্কের মতই ছিল। ফলে ধীরে-ধীরে একে অপরের প্রতি আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। শেষমেশ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের প্রস্তাব দেয় অভিযুক্ত যুবক। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় ওই স্কুলছাত্রীও। কিন্তু একাধিকবার সহবাসের পর হঠাৎই অভিযুক্ত নিজের অবস্থান থেকে সরে আসে। বিয়ে করতে অস্বীকার করে মেয়েটিকে। শেষ পর্যন্ত চরম পথটাই বেছে নেয় সে। বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। যদিও, পরিবারের তৎপরতায় তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাকে স্থানান্তরিত করা হয় সিসিইউ’তে। আপাতত সংকটজনক অবস্থায় সেখানেই চিকিৎসাধীন ওই স্কুলছাত্রী।
এদিকে, পরে ওই ছাত্রীর পরিবার অভিযুক্ত আকাশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে ক্যানিং থানার পুলিশ। বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনাটি তদন্ত শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ধৃতকে।
মেয়েটির মা বলেন, ‘এলাকারই একটি ছেলের সঙ্গে আমার মেয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়। এখানে-ওখানে ওরা রাত কাটায়। গত একমাস আগে আমি বিষয়টি জানতে পারি। তখন মেয়েকে বারণ করি। এদিকে, গতকাল আমার মেয়েকে ডেকে ছেলেটি মারধর করে। তারপর বলে ওকে বিয়ে করতে পারবে না। তখন ও অনেকবার অনুরোধ করে। কিন্তু ছেলেটি শোনেনি। এরপর আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় সে।’