Royal Bengal Tiger: দীপাবলির ভোরে সুন্দরবনে রয়্যাল দর্শন, উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা
Sundarban: দীপাবলির ভোরে দক্ষিণরায়ের দর্শন পেয়েে উচ্ছ্বসিত পর্যটকেরা। যদিও এলাকাবাসীর মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বসিরহাট: সুন্দরবনে (Sundarban) এসে বাঘের দেখা পাওয়া কার্যত ভাগ্যের দরকার। কিন্তু এবার বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের কালিতলা পঞ্চায়েতের বসিরহাট ফরেস্ট রেঞ্জ অন্তর্গত ঝিঙ্গাখালি বিটের শকুনখালির জঙ্গলে দেখা গেল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger)। দীপাবলির ভোরে দক্ষিণরায়ের দর্শন পেয়েে উচ্ছ্বসিত পর্যটকেরা। যদিও এলাকাবাসীর মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
একেবারে সুন্দরবন ঘেঁষা গ্রাম কালীতলা (Kalitala)। সেখানেই সকালে দেখা মিলল ‘বাঘ মামার’। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ক্যামেরাবন্দি করতে হিড়িক পড়ে যায় পর্যটকদের মধ্যে। কালী পুজোর ছুটিতে বেড়াতে এসে শীতের প্রথমেই সুন্দরবনে বাঘের দেখা পাওয়া সৌভাগ্যের বলে মনে করছেন তাঁরা। বেশ খানিকক্ষণ বাঘটিকে বসে জিরোতে দেখা যায়। তার পর ধীরে ধীরে স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে আবার জঙ্গলের দিকে ফিরে যায়।
এদিকে এই এই বাঘ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। একবারে জনপদের কাছে বাঘটি চলে আসায় আতঙ্কে ভুগছেন এলাকাবাসী। যদিও দীপাবলির দিন বাঘ দেখতে পাওয়াকে বাড়তি পাওনা বলেই মনে করছেন পর্যটকরা। তাঁরা দূর থেকে ক্যামেরাবন্দি করেন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারটিকে। ৭ থেকে ৮ ফুট লম্বা শকুনখালির জঙ্গলে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর আবার সেটি অবশ্য জঙ্গলে ভিতরে ঢুকে যায়।
এর আগে পিরখালি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসা দক্ষিণ রায়কে নদী সাঁতরে পার হতে দেখা গিয়েছিল। কলকাতা থেকে বেড়াতে আসা জনা পনেরোর পর্যটকের একটি লঞ্চের সামনেই নদী পার হয় বাঘটি। কয়েকজন আবা বাঘের ছবি ক্যামেরাবন্দি করতে ভোলেননি। ফের শীতের আগে আগে দক্ষিণ রায় দর্শনে উচ্ছ্বসিত শকুনখালিতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা।
আরও পড়ুন: ডাকাত কালীর গল্প: স্বপ্নাদেশ পাওয়া রঘু ডাকাতের কালীকে গান শুনিয়েছিলেন স্বয়ং রাম প্রসাদও
বাঙালি মাত্রেই ভ্রমণপিপাসু। তাদের পায়ের তলায় সরষে। তাই অল্প কয়েকদিনের জন্য বেড়াতে যাওয়ার কথা হলেই সুন্দরবন তাঁদের মনে আসেই। প্রায় প্রতি বছরই সবুজের মাঝে অক্সিজেনের খোঁজে পাড়ি দেন অনেকেই। বাক্সপ্যাঁটরা গুছিয়ে বেরিয়ে পড়েন পর্যটকরা। তবে গত বছর করোনা পরিস্থিতির জন্য লকডাউন ছিল টানা অনেকদিন। সেই সময় বাড়ি থেকে বেরতে পারেননি কেউ। তার ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয় পর্যটন ব্যবসায়। তার পর আসে আনলক পর্যায়। সে সময় অর্থনীতিকে সচল করার চেষ্টা শুরু হয়। এখন অবশ্য ধীরে ধীরে আবার স্বাভাবিক হচ্ছে সুন্দরবনে পর্যটক সংখ্যা। শীতের মরসুমে ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের। ম্যানগ্রোভের জঙ্গলে অক্সিজেন নিতে নিতে বাঘের দেখা পাওয়া তো বাড়তি পাওনা বটেই।