Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sandeshkhali: একের পর এক বাড়ি পুড়ে খাক, জ্বলছে গ্রাম, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সন্দেশখালিতে! আক্রান্ত TV9 বাংলা

Sandeshkhali: সেই এলাকায় পৌঁছে যান TV9 বাংলার প্রতিনিধি সৌরভ দত্ত। টোটোয় তিনি একেবারে ঘটনাস্থলের কাছে পৌঁছে যান। আগুন লাগার মুহূর্তের ছবি, এলাকার ছবি করছিলেন তিনি। সে সময়েই আমাদের প্রতিনিধিকে ঘিরে ধরে শিবু হাজরার শাকরেদরা। ৩ টি বাইকে চেপে টোটো ঘিরে ধরে তারা। 

Sandeshkhali: একের পর এক বাড়ি পুড়ে খাক, জ্বলছে গ্রাম, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সন্দেশখালিতে! আক্রান্ত TV9 বাংলা
শিবুর পোলট্রি ফার্মে আগুনImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2024 | 2:07 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সন্দেশখালির বাঘ তিনি। কিন্তু তিনি আজ তাঁর ডেরায় নেই। তাঁর ডেরা আজ ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে। এতদিনকার নিগৃহীত গ্রামবাসীদের ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে সন্দেশখালি। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার। জ্বলছে শেখ শাহজাহানের ডান হাত শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্ম। শেখ শাহাজাহান তো বেপাত্তা। কিন্তু গ্রামবাসীদের বক্তব্য, শাহজাহান তো একা নন, এতগুলো বছর ধরে দিনের পর দিন শোষণ চালিয়েছেন শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার, লাল্টু বোসদের মতো নেতারা। তাঁদের গ্রেফতারির দাবিতে বৃহস্পতিবারই ঘর থেকে সন্দেশখালির রাস্তায় নেমে এসেছেন হাজার হাজার আদিবাসী মহিলা। হাতে তাঁদের বাঁশ, লাঠি, কাঠারি! শুক্রবারও আরও ভয়াবহ চিত্র। জ্বলছে সন্দেশখালি। শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্মে আগুন ধরিয়ে দিলেন গ্রামের মহিলারা।  পুড়ে খাক একটার পর একটা ঘর। খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত TV9 বাংলা।

জেলিয়াখালির হালদারপাড়ায় শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্ম রয়েছে। শুক্রবার সকালে সেখানেই আগুন ধরিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। নেতৃত্বে গ্রামের মহিলারাই। তাঁদের প্রত্যেকের হাতে বাঁশ, লাঠি, লোহার রড, কাঠারি। তাঁদের একটাই অভিযোগ, শিবু হাজরাকে এখনও কেন গ্রেফতার করা হল না? শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত, যে ওখানে এখনও পুলিশই ঢুকতে পারেনি।

সেই এলাকায় পৌঁছে যান TV9 বাংলার প্রতিনিধি সৌরভ দত্ত। টোটোয় তিনি একেবারে ঘটনাস্থলের কাছে পৌঁছে যান। আগুন লাগার মুহূর্তের ছবি, এলাকার ছবি করছিলেন তিনি। সে সময়েই আমাদের প্রতিনিধিকে ঘিরে ধরে শিবু হাজরার শাকরেদরা। ৩ টি বাইকে চেপে টোটো ঘিরে ধরে তারা।  ক্যামেরা বন্ধ করার নির্দেশ দিতে থাকে। খবর প্রকাশিত হতেই রীতিমতো তেড়েফুঁড়ে ওঠে তারা। বুম কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলে। লক্ষ টাকার ক্যামেরা জলে ফেলে দেওয়া হয়।

এতদিন চলত গ্রামবাসীদের ওপর গাজোয়ারি, এখন সংবাদমাধ্যমের ওপরেও!

ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এই রাজ্যে কোনও আইনের শাসন নেই। এই ঘটনা সমর্থনযোগ্য নয়। আজ যাঁরা আগুন লাগিয়েছেন, তাঁদের তো জীবনেই আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন শেখ শাহজাহান ও তাঁর ভাই আলমগিররা। ওই গ্রামের মহিলাদের গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন, সবটা বলবে। আজ পুলিশকে গিয়ে বললে পুলিশ বলে আমি কিছু করতে পারব না, শিবুকে গিয়ে বলো। “