Weather Update: টানা বৃষ্টিতে কোথাও নৌকা উল্টে বিপত্তি, কোথাও আবার মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু

Bengal Rain Update: এরইমধ্যে আচমকা নৌকাটি কাত হয়ে গিয়ে উল্টে যায়। যার জেরে প্রত্যেকে পড়ে যায় জলে।

Weather Update: টানা বৃষ্টিতে কোথাও নৌকা উল্টে বিপত্তি, কোথাও আবার মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু
নৌকা উল্টে বিপত্তিতে মৎস্যজীবী (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 18, 2021 | 7:41 PM

সুন্দরবন:নিম্নচাপের জেরে রবিবার রাতভর দফায় দফায় ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 pargana)। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাস বইছে। সুন্দরবন উপকূলে বৃষ্টি ও ঝড়ের দাপট অনেকটাই বেশী। আগেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন। কিন্তু বারণ উপেক্ষা করেই ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে মাছ ধরতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনলেন কয়েকজন মৎস্যজীবী। নৌকা উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন তাঁরা।

রবিবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবনের (Sundarban) চাঁদদোয়ানি জঙ্গলের কাছে বিদ্যাধরী নদীতে। ঘটনা খবর আজ সকালে এসে পৌঁছায় রায়দিঘিতে (Roydighi)। এরপর স্থানীয় এক বাসিন্দা ইয়াসিন গাজীর নেতৃত্বে গ্রামবাসীরা দুর্যোগ মাথায় নিয়ে নৌকাতে করে ঘটানস্থানে পৌঁছে সকল মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে রায়দিঘির নগেন্দ্রপুর থেকে ১০জন মৎস্যজীবী সুন্দরবনের খাঁড়িতে মাছ ধরতে গিয়েছিল। এরপর রবিবার গভীর রাতে বিদ‍্যধরী নদীর চাঁদদোয়ানির মুখের কাছে প্রবল ঝড়ের সম্মুখীন হন তাঁরা। সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে যথেষ্ঠ বেগ পেতে হয় তাঁদের। এরইমধ্যে আচমকা নৌকাটি কাত হয়ে গিয়ে উল্টে যায়। যার জেরে প্রত্যেকে পড়ে যায় জলে। পরে তারা সাঁতরে পাড়ে উঠে জঙ্গলে গাছের উপর আশ্রয় নেয়। এই ঘটনায় কারও মৃত্যু খবর মেলেনি।

এদিকে দাপট শুরু হয়ে গিয়েছে ঝড়ো হাওয়ার। নিম্নচাপের প্রবল বৃষ্টির জেরে ও ঝড়ো হাওয়ার দাপটে কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। সেই মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক প্রৌঢ়ার।

ভেঙে গিয়েছে মাটির বাড়ি

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বিজলী সাঁতরা (৬০)। বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। আজ দুপুর নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নামখানা ব্লকের রাজনগর এলাকায়। ঘরের ভিতর থেকে বিকট আওয়াজ পেয়ে প্রতিবেশীরা বাইরে বেরিয়ে আসেন। দেখেন মাটির ওই বাড়িটি ভেঙে পড়েছে। বাড়ির ভেতর থেকে তড়িঘড়ি প্রৌঢ়াকে উদ্ধার করে দ্বারিকনগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান।

গত দুদিন ধরে দফায় দফায় বৃষ্টির জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপ মহাকুমার বিভিন্ন নীচু এলাকাগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। রবিবার রাত থেকে বৃষ্টির পরিমান কয়েক গুন বেড়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাসও বইছে। সুন্দরবন উপকূলে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘন্টায়, ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। প্রয়োজনে নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, কাকদ্বীপ পাথরপ্রতিমা, সাগরদ্বীপের উপকূল এলাকা ও ঘোড়ামারা ও মৌসুনি দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদস্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।

প্রত্যেক ব্লক প্রশাসন ও মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে মাইকের মাধ্যমে সতর্কবার্তা প্রচার করা হচ্ছে উপকূল এলাকায়। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বুধবারই পূর্ণিমা। ভরা কোটালে আরও বাড়বে জল। যার ফলে নদী ও সমুদ্রের জলস্তর বাড়বে। দুর্যোগ চলতে থাকলে সুন্দরবনজুড়ে বাঁধ উপচে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে তাই রাস্তাঘাট শুনশান। জনজীবন কার্যত স্তব্ধ।