TMC Leader Death: ক্যানিংয়ে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় দলের পঞ্চায়েত উপ প্রধান সহ গ্রেফতার ৩

Canning: সিসিটিভি দেখে ওই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

TMC Leader Death: ক্যানিংয়ে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় দলের পঞ্চায়েত উপ প্রধান সহ গ্রেফতার ৩
গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার মৃত্যু হল এসএসকেএম হাসপাতালে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 22, 2021 | 1:50 PM

ক্যানিং: কিছুদিন আগে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়েছিল ক্যানিং। রীতিমত বিক্ষোভে নেমেছিল  এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরেই এই খুন বলে খবর। সেই ঘটনার পর থেকে জোর কদমে চলছিল পুলিশের তল্লাশি অভিযান। অবশেষে খুনের ঘটনায় দলেরই পঞ্চায়েত উপ প্রধান সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

শনিবার রাতে নিকারীঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেখালি গ্রামে, নিজের বাড়ির কাছেই আচমকা গুলিবিদ্ধ হন ক্যানিংয়ের নিকারীঘাটা অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতি মহরম শেখ। সেই নেতা খুনের ঘটনায় অবশেষে তিন জনকে গ্রেফতার করল ক্যানিং থানার পুলিশ।

তবে ঘটনার সময় সিসিটিভি ফুটেছে যাদের দেখা গিয়েছিল, এলাকার সেই মূল নেতা ও তার সঙ্গীদের এখনো ধরা যায়নি এখনও। জানা গিয়েছে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা নিকারীঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান পাঁচু সাফুই ছাড়াও মলয় মণ্ডল,সাইফুল লস্কর মোট এই তিন জন দলীয় কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার  ওই তিনজনকে আলিপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে দশ দিনের নিজেদের হেফাজতের জন্য আবেদন জানাবে পুলিশ। তবে এদিন থানার সামনে দাঁড়িয়ে ধৃত ওই নেতার বাবার দাবি যে তার ছেলে ঘটনার দিন একটি মেলা দেখতে গিয়েছিল। সে খুনের ঘটনায় জড়িত নয়।

প্রসঙ্গত, শনিবার বাড়ির সামনে আততায়ীদের গুলিতে গুরুতর জখম হলেন যুব তৃণমূল নেতা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তৃণমূল নেতাকে ভর্তি করা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে।জানা গিয়েছে, ক্যানিং থানার নিকারীঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার যুব তৃণমূল সভাপতি মহরম শেখ ওইদিন সন্ধ্যার সময় বাড়ির সামনে একটি চেয়ারে বসেছিলেন। একটি অটো করে এসে দুষ্কৃতীরা এসে তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায়। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই অকুস্থল থেকে চম্পট দেয় তারা। গুলির শব্দে চমকে ওঠে স্থানীয়রা। তাঁরা ছুটে এলে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করছেন তৃণমূল নেতা।

কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তার বিবরণী দিতে গিয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “মহরম হেঁটে এসে আমাদের ওই চেয়ারে বসেছিল। ওরা চারজন অটো নিয়ে এসেছিল। মিয়ারুল, হাফিজুল আর রফিক। আরেকজনকে ঠিক চিনতে পারিনি। এসে গুলিটা করল। তিন রাউন্ড গুলি ছুড়ে এখান থেকে ছুটে চলে গেল।” ওই প্রত্যক্ষদর্শীর সংযোজন, “গাড়িটা এমন অবস্থায় গেল সামনে থাকলে চাপা দিয়ে দিত।” তিনি একে ‘পার্টিগত বিষয়’ বলে দাবি করলেও, আততায়ীরা কোন দল করে সেটা বলতে পারবেন না বলে জানান।

তড়িঘড়ি থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু হয়। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতাকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। রাত ২টো নাগাদ মৃত্যু হয় তার।

আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee in Agartala: অভিষেক নামার আগেই বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক, ‘এ সব করে আর কত দিন?’ পাল্টা খোঁচা