Basanti TMC Clash: তোলাবাজি নিয়ে বচসা, তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত বাসন্তী
Basanti TMC Clash: অভিযোগ, তাঁদেরকে লাঠি, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। আহতদের আরও অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা এলাকার পুরনো তৃণমূল কর্মীরা হামলা চালিয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: তোলবাজির প্রতিবাদ করায় ব্যাপক মারধরের অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বাসন্তীতে যুব তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম হয়েছেন ৫ জন। তাঁদেরকে ক্যানিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী থানার চুনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কটরাখালি বাজার এলাকায়। গুরুতর জখম হয়েছেন রফিকূল মোল্লা, হায়দার নাইয়া, রেজাউল লস্কর, সোয়েব লস্কর, সালাউদ্দিন মোল্লা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কটরাখালি বাজার এলাকায় কয়েকজন তোলাবাজি করছিলেন বেশ কিছুদিন যাবৎ। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই এলাকায় পুরনো তৃণমূল কর্মী বলে দাবি আহতদের। তোলাবাজির প্রতিবাদ করেছিলেন জখম তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। অভিযোগ, তার জেরেই কটরাখালি বাজারে আচমকা হামলার মুখে পড়তে হয় জনা সাতেক তৃণমূল কর্মী সমর্থককে।
অভিযোগ, তাঁদেরকে লাঠি, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। আহতদের আরও অভিযোগ, এলাকার পুরনো তৃণমূল কর্মীরা হামলা চালিয়েছে। দুষ্কৃতীরা তাঁদের কাছ থেকে নগদ দশ হাজার টাকা ও পাঁচটি দামি মোবাইলও ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও চুনাখালির দলীয় নেতৃত্ব ওই আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে আহতরা সেখানেই চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাসন্তী থানার পুলিশ বাহিনী।
এলাকার এক তৃণমূল নেতা বলেন, “আমি তখন দলীয় কার্যালয়েই ছিলাম। দেখলাম আজ পার্টি অফিসে লোক ভর্তি। বাকিদের সঙ্গে আলোচনা করছিলাম। বাপ্পাদিত্য নস্করের লোকেরা জনা পঁচিশেক লোক নিয়ে বাজারে ঢুকে হম্বিতম্বি করে। আগে তো যুব বলে কিছু ছিল না। এখন হয়েছে। বাঁশ, লাঠি নিয়ে মারধর করা হয়েছে। তৃণমূলে আমাদের এখানে যুব-মাদার বলে কিছু ছিল না। এখন কী হচ্ছে, এসব ছিল না আমাদের এখানে।”
এলাকার উপপ্রধান নরেশ নস্কর বলেন, “অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর প্রয়াণের পর চুনাখালিতে অশান্তির বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা চলছে। কাল রাতে বৈঠক হয়। সকালে আবার আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা হয়। ভরা বাজারে হামলা হয়েছে। এলাকায় শান্তি রাখার প্রয়াস চালাচ্ছি।”