দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মাঝরাতে মাঝ সমুদ্রে টর্নেডো। তাতেই দিগভ্রান্ত হয়ে ডুবে যায় আস্ত একটি ট্রলার। ৯ মৎস্যজীবীরও খোঁজ মিলছিল না। এফবি ট্রলার নামে সেই ট্রলারকে উদ্ধার করতে সমুদ্রে গিয়েছিল ৮টিরও বেশি ট্রলার। ট্রলার উদ্ধার হয় বটে, সঙ্গে উদ্ধার হয় ২ মৎস্যজীবীরও দেহ। কেবিনের ভিতরে আটকে ছিল ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া তাঁদের শরীর। নামখানার হরিপুরের অদূরে লুথিয়ান দ্বীপের কাছে ট্রলারটিকে টেনে আনা হয়। কিন্তু জোয়ার চলায় ট্রলারের কেবিনের ভেতরে তল্লাশি চালাতে বেগ পেতে হয়। এখনও ভিতরে কোনও দেহ আটকে রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ট্রলারটিকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ প্রশাসন ও মৎস্যজীবী সংগঠনের তরফে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। পাঠানো হয় অভিজ্ঞ ডুবুরিকেও। কারণ, অভিজ্ঞ মৎস্যজীবী ও মৎস্যজীবী সংগঠনের তরফে মনে করা হচ্ছে আরও দেহ কেবিনে আটকে থাকতে পারে।
যত সময় গড়াচ্ছে চরম উৎকণ্ঠায় নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবার পরিজনেরা। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার গভীর রাতে সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে উল্টে গিয়েছিল এফবি গোবিন্দ নামক ট্রলারটি। ট্রলারে থাকা ১৭ জন মৎস্যজীবীর মধ্যে আটজনকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ ছিলেন ৯ জন। হাসপাতালে অসুস্থ মৎস্যজীবীদের দেখতে যান কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা। মৎস্যজীবীদের দেহ উদ্ধারের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মন্টুরাম পাখিরা। তিনি বলেন, “তল্লাশি চলছে। মালিক সংগঠন যৌথভাবে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে।”