Rathin Ghosh: ‘পাল্টা হুল ফোটালে সহ্য করতে পারবেন তো?’, সিপিএমকে হুঁশিয়ারি খাদ্যমন্ত্রীর
রথীন ঘোষের সুরেই আরও একধাপ এগিয়ে সিপিএমের মিটিং করা নিয়ে রীতিমতো ফতোয়া জারি করলেন সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার।
মধ্যমগ্রাম: এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে CPIM। সোমবার বারাসত-২ ব্লকের কলুপাড়ায় পাল্টা প্রতিবাদ সভা করে এমনই তোপ দাগলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ (Rathin Ghosh)। একইসঙ্গে পাল্টা হুল ফোটানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। খাদ্যমন্ত্রীর কথায়, “এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে এলে পাল্টা প্রতিরোধ করা হবে। যারা মাঝেমধ্যে হুল ফোটাতে আসছেন তাঁদের বলব, পাল্টা হুল ফোটালে সহ্য করতে পারবেন তো!” একইসঙ্গে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাম-বাম অলিখিত জোট নিয়েও সরব হয়েছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, গত ১০ জানুয়ারি CPIM-এর সভার দিন তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে অভিযোগ তুলে এদিন প্রতিবাদ সভা করে তৃণমূল। বারাসত-২ ব্লকের মধ্যমগ্রামের কেমিয়া খামারপাড়া পঞ্চায়েতের কলুপাড়ায় এই প্রতিবাদ সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এবং সাংসদ তথা তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র কাকলী ঘোষ দস্তিদার। দুজনেই এদিন নাম করে সিপিএম নেতাদের তোপ দেগে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন।
সিপিএম কর্মীরা এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে চাইছে অভিযোগ তুলে হুঁশিয়ারির সুরে এদিন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, “সিপিএম যেন না ভাবে,তৃণমূল হাতে চুড়ি পড়ে বসে আছে। তাহলে তাঁরা মূর্খের সঙ্গে বাস করছে। তৃণমূল যদি মনে করে দলের কারও উপর আঘাত আসবে, তার প্রত্যাঘাত করার ক্ষমতা আমাদের আছে। মৌচাকে ঘা দিলে পাল্টা হুল ফুটবে।” রথীন ঘোষের সুরেই আরও একধাপ এগিয়ে সিপিএমের মিটিং করা নিয়ে রীতিমতো ফতোয়া জারি করলেন সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন,”নেতা সেজে সিপিএম এখন পাড়ায় পাড়ায় মিটিং করছে। কোনও মিটিং করা যাবে না। মিটিং করার আগে নাক-খত দিয়ে অন্যায় স্বীকার করতে হবে সিপিএম নেতাদের। বলতে হবে,৩৪ বছরে যা করেছি সেটা ছিল আমাদের কাছে অন্ধকারময়। তারপর এলাকায় মিটিং করতে আসে যেন সিপিএম।” বিজেপির উস্কানিতেই সিপিএম গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে এবং এটা বরদাস্ত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বারাসতের সাংসদ।
এদিন পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূল জোট নিয়েও কটাক্ষ করেন খাদ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত ভোটে সব আসনে প্রার্থী দিতে পারবে না দাবি জানিয়ে তাঁর কটাক্ষ, “পঞ্চায়েত ভোটে সব আসনে প্রার্থী দিতে পারবেন কিনা সেটা ভাবুন। বাম-বিজেপি-কংগ্রেস মিলে প্রার্থী দেবে। এদের অলিখিত আঁতাত সারা গ্রাম বাংলায় হতে চলেছে।”
প্রসঙ্গত, গত ১০ জানুয়ারি মধ্যমগ্রামের কলুপাড়ায় সভা করে সিপিআইএম। ওই সভার প্রধান বক্তা ছিলেন সুজন চক্রবর্তী। তাঁর উপস্থিতিতেই সেই সভায় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল হামলা চালায় বলে অভিযোগ সিপিএমের। যদিও সিপিএম সন্ত্রাসের রাজনীতি করছে এবং বাইরে থেকে লোক এনে তারাই তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ শাসকদলের। তারই জবাব দিতে এদিন কলুপাড়ায় পাল্টা সভা করে তৃণমূল।