Islampur: পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালের ভিতরই ধস্তাধস্তি
Islampur: স্থানীয় সূত্রে খবর,মঙ্গলবার দুপুরে কমলাগাও সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে পুলিশের একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। গাড়িতেই চাবি ঝুলিয়ে রেখেই চালক চা খেতে যান বলে খবর। সেই সময় গাড়িতে থাকা এক পুলিশ কনস্টেবল গাড়ি স্ট্রাট করলে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে কয়েকটি দোকানে ধাক্কা মারে।
ইসলামপুর: পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের কমলাগাঁও সুজালি এলাকায়। মৃত ব্যক্তিকে রামগঞ্জ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি উত্তেজিত জনতার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে কমলাগাও সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে পুলিশের একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। গাড়িতেই চাবি ঝুলিয়ে রেখেই চালক চা খেতে যান বলে খবর। সেই সময় গাড়িতে থাকা এক পুলিশ কনস্টেবল গাড়ি চালু করলে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে কয়েকটি দোকানে ধাক্কা মারে। তারপর এক ব্যক্তিকে ধাক্কা মারে বলে দাবি। গুরুত্বর আহত হন ওই ব্যক্তি। ।
এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসকরা সেই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে পুলিশের সঙ্গে খণ্ড যুদ্ধ বাধে উত্তেজিত জনতার। চলে ব্য়াপক ধস্তাধস্তি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন ইসলামপুর থানার আইসি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম সহোরব হুসেন (৪৭)। বাড়ি সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢুলিগাও এলাকায়। পুলিশ মৃতদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “কনস্টেবল পুলিশের গাড়ি চালাতে গিয়ে মর্মান্তিক একটা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে দিয়েছে। তাতে একজন ব্য়ক্তি মারা গিয়েছে। আমরা হাসপাতালে গিয়েছি। তদন্ত হবে বলে বলছে পুলিশ।” আরও এক বাসিন্দা বলেন, “পুলিশের গাড়িতে চাবি দিয়ে লুডো খেলতে চলে গিয়েছে। আর একটা সিভিক পুলিশ গাড়ি চালাতে জানে না। সে আবার গাড়ি চালাতে গিয়েছে। তখনই পরপর ধাক্কা মারে। সেই সময় রাস্তার ধার দিয়ে একজন পথচারী যাচ্ছিলেন। তাঁকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশের কাজ সাধারণ মানুষের সুরক্ষা। এখন পুলিশই যদি এই সব করে আমরা কী কোথায় যাব?”