AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Raigunj: ৮০ লক্ষ টাকা বকেয়া, হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরও পাচ্ছেন না ঠিকাদার!

Raigunj: হাইকোর্ট নির্দেশ দিলেও এখনও টাকা পাননি ওই ব্যবসায়ী। এবার রুল জারি হওয়ায় আশায় বুক বাঁধছেন তিনি। তবে এই বিল না পেলে কীভাবে চিকিৎসা হবে, আর দুই ছেলে স্ত্রীর ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে আরো অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানান তিনি।

Raigunj: ৮০ লক্ষ টাকা বকেয়া, হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরও পাচ্ছেন না ঠিকাদার!
Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2025 | 4:35 PM
Share

রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জের বন্দর এলাকার বাসিন্দা নন্দলাল সাহা। তিনি পেশায় ঠিকাদার। তাঁর দাবি, ২০১৭ সালের আগে কংগ্রেসের পুরবোর্ড থাকাকালীন তিনি রায়গঞ্জ পুরসভার বরাতে শহরের ড্রেন, রাস্তা সহ বিভিন্ন কাজ করেছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার বিল হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।

২০১৭ সালে রায়গঞ্জ পুরসভায় ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। বোর্ড বদলে গেলেও তাঁর বকেয়া বিল দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তৎকালীন পুরপিতা এবং বর্তমানে প্রশাসককে ৮০ লক্ষ টাকা বিল মিটিয়ে দেওয়ার জন্য বারবার আবেদন করা হলেও সেই বিষয়ে পুর কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। শুধু আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি ওই ব্যবসায়ীর।

এদিকে লিভারের রোগে ভুগে এমনিতেই শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন নন্দলাল সাহা। তাঁর দাবি, একাধিকবার পুর প্রশাসকের কাছে জানানো হলেও কোনও সুরাহা না হওয়ায় অগত্যা আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। অবশেষে হাইকোর্ট নির্দেশ দিলেও এখনও টাকা পাননি ওই ব্যবসায়ী। এবার রুল জারি হওয়ায় আশায় বুক বাঁধছেন তিনি। তবে এই বিল না পেলে কীভাবে চিকিৎসা হবে, আর দুই ছেলে স্ত্রীর ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে আরো অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানান তিনি।

পুর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাসের দাবি, হাইকোর্টের কোনও নির্দেশ তিনি এখনও পাননি। আর এই বিল কংগ্রেসের আমল থেকেই বকেয়া আছে বলে পাল্টা দাবি করেছেন তিনি। এই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ির দাবি, শুধু নন্দলাল বাবুই নন, এরকম আরও অনেক ঠিকাদাররা আছেন, যাঁরা বকেয়া বিল পাচ্ছেন না। বেতন, পেনশনও পাচ্ছেন না বহু পুরকর্মী বা সাফাইকর্মীরা। বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতা।

সিপিএমের রায়গঞ্জ এরিয়া কমিটির সম্পাদক তীর্থ দাসের দাবি, কোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরও যদি টাকা না পাওয়া যায়, তাহলে সেটা দুঃখজনক।