হেমতাবাদ: সকালেই পার্সেলকাণ্ডে (Percel Blast) আটক করা হয়েছিল টোটো চালককে। জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে অবশেষে গ্রেফতার করা হল তাকে। সোমবার তাকে পেশ করা হবে আদালতে। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে সেই প্রক্রিয়াও।
রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সানা আখতার জানান, ‘সকালে টোটো-চালককে গ্রেফতারের পর তদন্ত শুরু করেন গোয়েন্দারা। কিন্তু অভিযুক্তের কথায় একাধিক অসঙ্গতি থাকার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়।’
রবিবার সকালে রায়গঞ্জের পকোম্বা এলাকা থেকে রঞ্জন রায় নামে ওই টোটো-চালককে গ্রেফতার করে হেমতাবাদ থানা ও এসওজির যৌথ তদন্তকারী দল। সকালে রঞ্জনের বাবা দাবি করেছিলেন তাঁর ছেলে নির্দোষ। পুলিশের সঙ্গে গিয়ে তিনিই ছেলের সন্ধান পাইয়ে দেন। ওই পার্সেল রঞ্জনই তার টোটোয় করে পৌঁছে দিয়েছিল বাহারাইলের ওষুধ ব্যবসায়ী বাবলু চৌধুরীকে। রঞ্জনের বাবার দাবি তাঁর ছেলে টোটোয় যাত্রী নিয়ে বিষ্ণুপুর থেকে সমসপুর যাচ্ছিল। পথে দুই মোটোর বাইক আরোহী রঞ্জনকে ওই পার্সেল দিয়ে বাবলু চৌধুরীকে পৌঁছে দিতে বলে। ১০ টাকার বিনিময়ে ওই পার্সেল সে বাবলু চৌধুরীকে পৌঁছে দেয়। কিছু সময় পরে ওই পার্সেল বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘাবড়ে যান রঞ্জন। এরপরই ভয় পেয়ে তিনি টোটো নিয়ে রায়গঞ্জের পকম্বা গ্রামে নিজের শ্বশুর বাড়িতে গা ঢাকা দেয় বলে দাবি।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ রঞ্জনকে একাধিক প্রশ্ন করেন। কেন ঘটনা পর টোটো চালক রঞ্জন পুলিশের দারস্থ হলো না? সহ আরও নানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তবে রঞ্জনের কথা ঠিক পছন্দ হয়নি গোয়েন্দাদের। একাধিক অসংগতি থাকায় রবিবার বিকেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদের বাহারাইল এলাকার এক ওষুধ ব্যবসায়ী বাবলু চৌধুরীর হাতে পার্সেল দিয়ে যায় এক টোটো চালক। পার্সেলটি খুলতেই বিস্ফোরণ ঘটে। বহুদুর পর্যন্ত বিস্ফোরণের আওয়াজে কেঁপে ওঠে এলাকা। গুরুতর জখম হন তিন জন। তাঁরা রায়গঞ্জ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। আহত বাবলু চৌধুরীর অবস্থা আশাঙ্কাজনক।
এর বছর দুয়েক আগেও উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে জেএমবি জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আর এরপর হেমতাবাদের এই পার্সেল বিস্ফোরণ তদন্তকারীদের কার্যত রাতের ঘুম উড়িয়েছে, আর এই তদন্তের যত গভীরে যাচ্ছে ততই যেন রহস্য জোড়ালো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Percel Blast: উপহার ভেবে খুলতে গিয়েই বিপত্তি! পার্সেল বিস্ফোরণে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য