Percel Blast: ১০ টাকার বিনিময়ে ‘অজান্তেই’ সরবরাহ পার্সেল বোমা, ধরা পড়তেই দাবি টোটোচালকের পরিবারের!

North Dinajpur: আজ সকালে পুলিশ আটক করে টোটোচালককে। রঞ্জনের বাবা দাবি করেছেন তাঁর ছেলে নির্দোষ।

Percel Blast: ১০ টাকার বিনিময়ে 'অজান্তেই' সরবরাহ পার্সেল বোমা, ধরা পড়তেই দাবি টোটোচালকের পরিবারের!
টোটো চালকের বাবা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2022 | 12:35 PM

হেমতাবাদ: পার্সেল বিস্ফোরণ (Percel Blast) কাণ্ডে নয়া মোড়। অবশেষে হদিশ মিলল সেই টোটো চালকের। যিনি প্রথম পার্সেলটি দিয়ে চলে যান ওই ওষুধ ব্যবসায়ীকে। আর তারপরই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। টোটো চালকের নাম রঞ্জন রায়।

রবিবার সকালে সেই টোটো চালককে রায়গঞ্জ থেকে আটক করে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা রঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তবে রঞ্জনের বাবা দাবি করেছেন তাঁর ছেলে নির্দোষ। পুলিশের সঙ্গে গিয়ে তিনিই ছেলের সন্ধান পাইয়ে দেন। ওই পার্সেল রঞ্জনই তার টোটোয় করে পৌঁছে দিয়েছিল বাহারাইলের ওষুধ ব্যবসায়ী বাবলু চৌধুরীকে। রঞ্জনের বাবার দাবি তাঁর ছেলে টোটোয় যাত্রী নিয়ে বিষ্ণুপুর থেকে সমসপুর যাচ্ছিল। পথে দুই মোটোর বাইক আরোহী রঞ্জনকে ওই পার্সেল দিয়ে বাবলু চৌধুরীকে পৌঁছে দিতে বলে। ১০ টাকার বিনিময়ে ওই পার্সেল সে বাবলু চৌধুরীকে পৌঁছে দেয়। কিছু সময় পরে ওই পার্সেল বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘাবড়ে যান রঞ্জন। এরপরই ভয় পেয়ে তিনি টোটো নিয়ে রায়গঞ্জের পকম্বা গ্রামে নিজের শ্বশুর বাড়িতে গা ঢাকা দেয় বলে দাবি।

পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ রঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কথার সত্যতা কতখানি সেটা বোঝার চেষ্টা করছে। কেন ঘটনা ঘটার পর টোটো চালক রঞ্জন পুলিশের দারস্থ হলো না? এই প্রশ্নেই রঞ্জন পুলিশের সন্দেহের তালিকায় আছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি যদি রঞ্জনের বলা ঘটনা সত্যি হয় সেক্ষেত্রে, রঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই পার্সেল প্রেরকদের সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

পার্সেল বোমায় আহত বাবলু চৌধুরীর সামাজিক অবস্থান দেখে পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিক একাংশ মনে করছেন এই পার্সেল বোমা নিছকই পরীক্ষামুলক ভাবে বাবলু চৌধুরীকে পাঠানো হয়েছিল। আর এই ধারণা যদি সত্যি হয় তবে কি কোনও বড়সড় নাষকতার ছক কষছে কোনও দুস্কৃতীদের গ্যাঙ? সীমান্ত এলাকাই কি তবে টার্গেটে ছিল? এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্তকারীদের মধ্যে। সব মিলিয়ে ঘটনার দু’দিন পরেও পার্সেল বোমা বিস্ফোরণ কান্ডে পুলিশি তদন্ত এখনো বিশ বাঁও জলে।

প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদের বাহারাইল এলাকার এক ওষুধ ব্যবসায়ী বাবলু চৌধুরীর হাতে পার্সেল দিয়ে যায় এক টোটো চালক। পার্সেলটি খুলতেই বিস্ফোরণ ঘটে। বহুদুর পর্যন্ত বিস্ফোরণের আওয়াজে কেঁপে ওঠে এলাকা। গুরুতর জখম হন তিন জন। তাঁরা রায়গঞ্জ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। আহত বাবলু চৌধুরীর অবস্থা আশাঙ্কাজনক।

এর বছর দুয়েক আগেও উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে জেএমবি জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আর এরপর হেমতাবাদের এই পার্সেল বিস্ফোরণ তদন্তকারীদের কার্যত রাতের ঘুম উড়িয়েছে, আর এই তদন্তের যত গভীরে যাচ্ছে ততই যেন রহস্য জোড়ালো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Parcel Blast: পার্সেল বিস্ফোরণ! ‘বাবা কোনওদিন অনলাইনে জিনিস কেনে না’, কে পাঠাল উপহার, হতবাক বাবলুর ছেলে

আরও পড়ুন: Percel Blast: উপহার ভেবে খুলতে গিয়েই বিপত্তি! পার্সেল বিস্ফোরণে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য