Amartya Sen: ‘জমি ফেরত দিন’, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অর্মত্য সেনকে ফের চিঠি বিশ্বভারতীর

জমি ফেরতের অভিযোগে চিঠি দেওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শুক্রবার ফের অর্থনীতিবিদকে চিঠি দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

Amartya Sen: 'জমি ফেরত দিন', ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অর্মত্য সেনকে ফের চিঠি বিশ্বভারতীর
অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর জমি দখলের অভিযোগ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 27, 2023 | 6:54 PM

বোলপুর: জমি বিতর্ক থেকে নোবেল বিতর্ক শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ফের অমর্ত্য সেনকে চিঠি দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। জমি ফেরতের অভিযোগে চিঠি দেওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শুক্রবার ফের অর্থনীতিবিদকে চিঠি দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এদিনের চিঠিতে অমর্ত্য সেন অতিরিক্ত জমি দখল করে রয়েছেন অভিযোগ তুলে তাঁর নিজস্ব জমি কতটা এবং কী পরিমাণ দখল করে রেখেছেন, তা উল্লেখ করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অবিলম্বে জমি ফেরৎ দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে চিঠিতে।

এদিনের চিঠিতে ঠিক কী লেখা রয়েছে? বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন মোট ১.৩৮ একর জমি ভোগ করছেন। যার মধ্যে আইনতভাবে তাঁর জমি ১.২৫ একর। বাকি ১৩ একর জমি বিশ্বভারতীর দাবি জানিয়ে অবিলম্বে সেটি ফেরত দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে চিঠিতে।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ জানুয়ারি অমর্ত্য সেনকে চিঠি দিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই চিঠিতেও অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল করে রেখেছেন অভিযোগ তুলে অবিলম্বে সেটা ফিরিয়ে দেওয়ারও আবেদন করা হয়। এক সমীক্ষার মাধ্যমেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি জানতে পেরেছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। যদিও অমর্ত্য সেন সরাসরি সেই চিঠির কোনও জবাব দেননি। তবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি নিজে উপাচার্যের বাড়ি গিয়ে বলতে পারতাম যে, এই বাড়ি আমার পিতামহ কিনেছিলেন এবং মাপজোক করাতে চাই।” এখন আর তিনি বিষয়টি নিয়ে আদালতে ছুটতে চান না। তবে আইনজীবী মারফৎ উত্তর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তোলার ঘটনায় পরোক্ষে ষড়যন্ত্রেরও ইঙ্গিত দেন ৯০-এর দোরগোড়ায় পৌঁছনো নোবেলজয়ী। তাঁর কথায়, “অনেকেই আমাকে পছন্দ করেন না। তাঁরাও এর পিছনে থাকতে পারে।”

অমর্ত্য সেনের এই প্রতিক্রিয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই অবশ্য তাঁর নোবেল-প্রাপ্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন খোদ বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার রাতেই তিনি বলেন, “অমর্ত্য সেন নোবেল পাননি। উনি নোবেল লোরিয়েট নন। নোবেল পেয়েছেন বলে উনি নিজে দাবি করেন।” বিশ্বভারতীর উপাচার্যের এই মন্তব্যের পরই রাজ্য-রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। উপাচার্যের এহেন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে রাজ্যের শাসকদল।