Alipurduar: প্রসূতি মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা আলিপুরদুয়ারে, চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের

Alipurduar: অক্সিজেন-রক্তের অভাবে আলিপুরদুয়ারে মৃত্যু প্রসূতির। হাসপাতাল দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ মৃতার পরিবারের সদস্যদের। ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

Alipurduar: প্রসূতি মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা আলিপুরদুয়ারে, চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের
ছবি- প্রসূতি মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা আলিপুরদুয়ারে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 04, 2022 | 10:29 PM

আলিপুরদুয়ার: চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে রোগীর মৃত্যুর ঘটনা যেন ক্রমেই বেড়ে চলেছে গোটা রাজ্যজুড়ে। সেই সঙ্গে মৃত রোগীর পরিজনদের হামলার ঘটনা বারেবারেই উঠে আসছে খবরের শিরোনামে। এমতাবস্থায় এবার প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Birpara State General Hospital)। অক্সিজেন ও রক্ত দিতে দেরি হওয়ার কারণে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের। সেই কারণেই হাসপাতাল চত্বরে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভও দেখান তারা। ব্যাহত হয় চিকিৎসা পরিষেবা। অবশেষে বীরপাড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম হীরামনি রায় (২৪)। তিনি আলিপুরদুয়ারের নরসিংপুর এলাকার কৃষক পরিবারের বাসিন্দা। মেয়ের মৃত্যুতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন হীরামনির বাবা সমর চন্দ্র রায়।

প্রসব যন্ত্রণা ওঠায় মঙ্গলবার সকাল ৭ টা নাগাদ বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে মেয়েকে ভর্তি করেন সমর বাবু। বেলা দেড়টা নাগাদ সিজার করে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু তাররেই হীরামনির শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে শুরু করে। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, সন্তান প্রসবের পর হীরামনির ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়লেও সেদিকে বিশেষ নজর দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অক্সিজেনের প্রয়োজন হলেও দেওয়া হয়নি অক্সিজেন। এমনকী সঠিক সময়ে দেওয়া হয়নি রক্তও। আর সেই কারণেই বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ মৃত্যু হয় ওই তরুণীর, এমনটাই দাবি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও। যে চিকিৎসকেরা হীরামনিকে দেখছিলেন তাদের ব্যর্থতার জেরেই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি মৃতার মা বিনোদিনী রায়ের। মেয়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা পরিবারে।

ইতিমধ্যেই মৃতার বাড়ির পক্ষ থেকে দোষির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বীরপাড়া থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে বীরপাড়া হাসপাতালের সুপার কৌশিক গড়াইকে বেশ কয়েকবার ফোন করেও তিনি ফোন ধরেননি। হাসপাতালের অন্যান্য আধিকারিকেরাও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিশেষ উচ্চবাচ্য করেননি। ঘটনার জেরে চাপা উত্তেজনা রয়েছে হাসপাতাল চত্বরে।