Israel-Hamas War: ইজরায়েলের মাটিতে উদ্ধার ১৫০০ হামাস যোদ্ধার দেহ: ইজরায়েল সেনা
Israel-Hamas War: মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ মাত্র ৪ দিনে পড়ল। ইতিমধ্যেই দুই পক্ষ মিলিয়ে অন্তত ১,৬০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তাদের দেশে এখনও পর্যন্ত ৯০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার, দক্ষিণ ইজরায়েলের বেইয়েরির এক ছোট্ট জনপদ হামাসদের হাত থেকে মুক্ত করার পর, ওই জনপদ থেকে প্রায় ১০০টি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে।
জেরুসালেম: ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রায় ১,৫০০ হামাস যোদ্ধার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তবে, এর আগে প্যালেস্টাইনি কর্তৃপক্ষ সংঘর্ষে যতজন হামাস যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছিল, সেই সংখ্যাকে এই পরিসংখ্যানে ধরা হয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। ইজরায়েলি বাহিনী আরও জানিয়েছে, গাজা ভূখণ্ড সংলগ্ন দক্ষিণ ইজরায়েলে ফের ইজরায়েলি নিয়ন্ত্রণ কায়েম হয়েছে। সীমান্তের উপরও পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে ইজরায়েল। সেনার আরও দাবি, সোমবার রাত থেকে কোনও হামাস যোদ্ধা ইজরায়েলে প্রবেশ করেনি। তবে, কোথাও কোথাও অনুপ্রবেশ ঘটে থাকতে পারে। সেই বিষয়ে নিশ্চিত নয় ইজরায়েলি বাহিনী।
৪ দিনে মৃত ১৬০০০
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ মাত্র ৪ দিনে পড়ল। ইতিমধ্যেই দুই পক্ষ মিলিয়ে অন্তত ১,৬০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তাদের দেশে এখনও পর্যন্ত ৯০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার, দক্ষিণ ইজরায়েলের বেইয়েরির এক ছোট্ট জনপদ হামাসদের হাত থেকে মুক্ত করার পর, ওই জনপদ থেকে প্রায় ১০০টি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে গাজা এবং ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ৭০৪ জন প্যালেস্টাইনির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তবে, এর মধ্যে কয়েকশো হামাস যোদ্ধা রয়েছে। দুই পক্ষেই আহতের সংখ্যা এতই বেশি যে, হিসেব রাখা যাচ্ছে না বললেই চলে। এদিকে, অন্তত ১৫০ সামরিক-অসামরিক ইজরায়েলি নাগরিককে গাজা ভূখণ্ডে আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে হামাসের বিরুদ্ধে।
ডাকা হল রিজার্ভ বাহিনীর ৩ লক্ষ সদস্যকে
ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধ ঘোষণার পরই, ইজরায়লি সেনা তাদের রিজার্ভ বাহিনীর ৩ লক্ষ সদস্যকে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বাহিনীর বহর বৃদ্ধির ফলে, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি গাজায় স্থলপথেও সামরিক অভিযান চালাবে ইজরায়েল? ২০১৪ সালে শেষবার ইজরায়েলি বাহিনী পা রেখেছিল গাজায়। সেনা সদস্য বৃদ্ধি করার সঙ্গে সঙ্গে গাজা ভূখণ্ডের নিকটবর্তী সকল ইজরায়েলি শহরগুলি থেকে হাজার হাজার ইজরায়েলি নাগরিককে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যে কোনও রকম অনুপ্রবেশ রুখতে গাজা সীমান্ত এলাকায় ট্যাঙ্ক এবং ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চলছে, আকাশপথে গাজায় হামলা।
মঙ্গল ভোরেও জারি যুদ্ধ
মঙ্গলবার ভোরেও গাজা শহরের রিমাল এলাকায় শয়ে শয়ে বিমান হানা চালিয়েছে ইজরায়েল। তাদের দাবি, হামাসের বিভিন্ন কর্যালয়গুলিতেই এই হামলা হয়েছে। রিমালে হামাসের মন্ত্রক এবং সরকারি ভবনগুলি অবস্থিত। তবে, ঘন বসতিপূর্ণ গাজায় বিমান হানায় শুধু যে হামাস যোদ্ধাদেরই মৃত্যু হচ্ছে তা নয়, বরং সাধারণ মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। ইজরায়েল জানিয়েছে, এয়ার স্ট্রাইকের আগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গাজাবাসীকে সরে যেতে বলা হচ্ছে। তবে, বিদ্যুতবিহীন গাজায় সেই সতর্কতা কতটা কাজে লাগছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। ইজরায়েলি বিমান হানার পাল্টা, গাজা ভূখণ্ড থেকে ইজরায়েল লক্ষ্য করে রকেটও ছোড়া হয়েছে।
হত্যার হুমকি
হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যদি কোনও সতর্কতা ছাড়াই অসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইজরায়েল, তবে আটক ইসরায়েলিদের এক এক করে হত্যা করা হবে। সোমবার রাতে হামাসের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র আবু ওবেদা বলেছেন, ইসরায়েল যতবার আগাম সতর্কতা ছাড়া গাজার কোনও বাড়িতে অসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালাবে, ততবার একজন করে ইজরায়েলি অসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হবে। ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী এলি কোহেন বলেছেন, পণবন্দিদের কারও কোনও ক্ষতি করা হলে, হামাস যোদ্ধাদের ক্ষমা করা হবে না। পণবন্দিদের মুক্ত করতে একজন প্রাক্তন ইজরায়েলি সামরিক কমান্ডারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।