ওয়াশিংটন: শিক্ষিকার বাড়িতে থাকত নাবালক ছাত্র ও তার বোন। আর সেই নাবালক ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অভিযোগ। শুধু তাই নয়, নাবালক ছাত্রের সন্তানের মা-ও হন ওই শিক্ষিকা। শেষপর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ছবিতেই ফাঁস হল সব। জেলে যেতে হল প্রাথমিক স্কুলের ওই শিক্ষিকাকে। ঘটনাটি আমেরিকার নিউ জার্সির।
নাবালক ওই ছাত্রের জন্ম ২০০৫ সালে। সে যখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত, তাকে পড়াতেন ওই শিক্ষিকা। নাবালক ছাত্রের পরিবারের সঙ্গেও শিক্ষিকার ভাল সম্পর্ক ছিল। মাঝে মাঝে ওই শিক্ষিকার বাড়িতে নাবালক ছাত্র ও তার বোনকে রাতে থাকতে দিতেন তার বাবা-মা। এরপর ২০১৬ সাল থেকে ওই নাবালক ছাত্র ও তার বোন কয়েকবছর শিক্ষিকার বাড়িতে ছিল।
২০১৯ সালে সন্তানের জন্ম দেন ওই শিক্ষিকা। ছাত্রের বয়স তখন বছর তেরো। আর শিক্ষিকার বয়স ২৮। কয়েকমাস পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই শিক্ষিকার সন্তানের ছবি দেখে আঁতকে ওঠেন ছাত্রের বাবা। তিনি দেখেন, তাঁর ও তাঁর ছেলের মুখের সঙ্গে মিল রয়েছে শিক্ষিকার সন্তানের। তারপরই বিষয়টি সামনে আসে।
তদন্তকারীদের ওই ছাত্রের বোন জানিয়েছে, সে ও তার দাদা একটা রুমে ঘুমোত। আর শিক্ষিকা অন্য রুমে। কিন্তু, সে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখত, শিক্ষিকার রুমে ঘুমিয়ে রয়েছে তার দাদা। তার দাদার যখন ১১ বছর বয়স, তখন থেকে শিক্ষিকা তার দাদার সঙ্গে ঘুমোত বলে সে জানিয়েছে।
নাবালক ওই ছাত্রের এখন বয়স ১৯-২০ বছর। সে জানিয়েছে, শিক্ষিকার সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক ছিল। এবং ওই সন্তানের বাবা সে। সে আরও জানায়, তার বাবা সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষিকার সন্তানকে দেখার আগে পর্যন্ত তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল।
নাবালক ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে শিক্ষিকাকে। কেপ মে কাউন্টির প্রসিকিউটর জেফ্রি সুথারল্যান্ড বলেন, “শিশুদের সুরক্ষার বিষয়ে অনড় আমরা। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মানুষ বিশ্বাস করেন। কিন্তু, এই মামলায় সেই বিশ্বাস ভঙ্গ হয়েছে। ওই নাবালক ও তার পরিবার যাতে ন্যায়বিচার পায়, তা নিশ্চিত করব আমরা।”