Al Qaeda : মত ছিল না ৯/১১ হামলায়, এখন আল-কায়েদার নতুন প্রধান হওয়ার দৌড়ে, চেনেন এই জঙ্গি নেতাকে?

Al Qaeda: সইফ আল-আদেল অতীতে একসময় ওসামা বিন লাদেনের নিরাপত্তা প্রধানের দায়িত্বে ছিল। ২০০১ সাল থেকে এফবিআই-এর মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে সে। এই আল-আদেলের বিষয়ে কোনও তথ্য দিতে পারলে, ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।

Al Qaeda : মত ছিল না ৯/১১ হামলায়, এখন আল-কায়েদার নতুন প্রধান হওয়ার দৌড়ে, চেনেন এই জঙ্গি নেতাকে?
কুখ্যাত জঙ্গি নেতা আল আদেল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2022 | 12:45 PM

কাবুল : ৯/১১ হামলার অন্যতম মূলচক্রী আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল-জওয়াহিরিকে নিকেশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কাবুলে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে তাকে। ২০১১ সালে ওসামা বিল লাদেনকে নিকেশের পর জওয়াহিরির মৃত্যু আল-কায়েদার জন্য নিঃসন্দেহে এক বড় ধাক্কা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সাফল্যের পর এক টেলিভিশন বার্তায় এটিকে এক ‘ন্যায়বিচার’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে যে হামলা চালানো হয়েছিল, তার মূল পরিকল্পনা করেছিল এই আল-জওয়াহিরি। তাছাড়া বিশ্বের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিনেতার মধ্যেও একজন ছিল এই জওয়াহিরি।

কে হতে পারে আল-কায়েদার নতুন নেতা?

ওসামা বিন লাদেনের পরবর্তী সময়ে ২০১১ সাল থেকে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার প্রধান ছিল জওয়াহিরি। ফলে জওয়াহিরির মৃত্যুর পর জঙ্গি সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব কার হাতে যাবে, তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে আন্তর্জাতিক মহলে। মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আল-কায়েদার পরবর্তী প্রধানের দায়িত্বে আসতে পারে সইফ আল-আদেল। মিশরের প্রাক্তন সেনা কর্তা এই আল-আদেল। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, সইফ আল-আদেল কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার একজন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিল। এর আগে ১৯৮০-এর দশকে মাকতাল আল-খিদমত নামে অন্য একটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে।

বিভিন্ন সূত্র মারফত খবর, সেই সময় থেকেই ওসামা বিন লাদেন এবং সদ্য নিকেশ হওয়া আল-জওয়াহিরির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আল-আদেলের। ওই সময়েই মিশরীয় ইসলামিক জিহাদ (Egyptian Islamic Jihad)-এ যোগ দেয় সে। শোনা যায়, আশির দশকে আফগানিস্তানে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করেছিল সে।

বিন লাদেনের প্রধান নিরাপত্তারক্ষী আল-আদেল

সইফ আল-আদেল অতীতে একসময় ওসামা বিন লাদেনের নিরাপত্তা প্রধানের দায়িত্বে ছিল। ২০০১ সাল থেকে এফবিআই-এর মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে সে। এই আল-আদেলের বিষয়ে কোনও তথ্য দিতে পারলে, ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এফবিআই-এর খাতায় আল-আদেলের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের হত্যার ষড়যন্ত্র, হত্যা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিল্ডিং ও সম্পত্তি ধ্বংস করা এবং আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গ জড়িত সামগ্রী ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করার” অভিযোগে তাকে খোঁজা হচ্ছে।

৯/১১ হামলায় মত ছিল না আল-আদেলের

বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় যে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলা চালানো হয়েছিল, সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল আল-আদেল। কারণ, তার আশঙ্কা ছিল, এমন বড় মাপের কোনও নাশকতা করা হলে, পরবর্তী সময়ে আফগানিস্তানে আল-কায়েদার গোপন ডেরায় হানা চালাতে পারে মার্কিন সেনা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি অ্যাকাডেমি ওয়েস্ট পয়েন্টের এক গবেষক দল ২০২১ সালের এক রিপোর্টে এমনই উল্লেখ করেছিল। শুধু আল আদেল নয়, আরও বেশ কয়েকজন আল-কায়েদা নেতাও এমন আশঙ্কা করা হয়েছিল বলে উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে।

‘ব্ল্যাক হক ডাউন’ এবং আল-আদেল

এবিসি নিউজের পুরনো এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন বাহিনী ১৯৯৩ সাল থেকে সইফ আল-আদেলকে খুঁজছে। সোমালিয়ায় বহুল চর্চিত ‘ব্ল্যাক হক ডাউন’, যে ঘটমায় ১৮ জন আমেরিকান মারা গিয়েছিলেন, ওই সময় মার্কিন বাহিনী এবং হেলিকপ্টারের উপর হামলার তদারকির দায়িত্ব ছিল তার উপর। প্রসঙ্গত, সেই সময় আল-আদেলের বয়স ছিল ৩০ বছর।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বিন লাদেনের মৃত্যুর পর থেকে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার গতিবিধি কীরকম হবে, তা স্থির করার ক্ষেত্রে একজন গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে কাজ করে আসছে সে। তবে, মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের পর্যবেক্ষণ বলেছে, ‘ব্ল্যাক হক ডাউন’এর পর থেকে সে ইরানে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই জঙ্গি নেতা ইরানে থাকার কারণে তাকে আল কায়েদার প্রধান করা বেশ কঠিন হতে পারে।