Nepal Flood: তুষারপাতের মাঝেই ভারী বৃষ্টির ভ্রূকুটি নেপালে, বন্যা ও ধসে চাপা পড়ে মৃত ২১

Nepal Flood and Landslide: টানা বৃষ্টিতে ও ভূমিধসের জেরে এখনও অবধি ২১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে, এছাড়াও ২৪ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। প্রশাসনের তরফে তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

Nepal Flood: তুষারপাতের মাঝেই ভারী বৃষ্টির ভ্রূকুটি নেপালে, বন্যা ও ধসে চাপা পড়ে মৃত ২১
আগামী কয়েকদিনও চলবে বৃষ্টি। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 20, 2021 | 8:59 AM

কাঠমাণ্ডু: ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত প্রতিবেশী দেশও। নেপালে( Nepal) ভারী বৃষ্টির জেরে কমপক্ষে ১৯টি জেলা ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানানো হল নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। মঙ্গলবার অবধি সেখানে কমপক্ষে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অতি বৃষ্টি ও ভূমিধস(Landslide)-র কারণে এখনও অবধি ২৪ জন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন।

উত্তরাখণ্ড ও কেরলের মতোই বর্ষার বিদায়কালে আচমকাই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে নেপালেও। টানা তিনদিনেরও বেশি সময় ধরে বৃষ্টি হওয়ায় একাধিক জেলায় হড়পা বান (Flash Flood) শুরু হয়েছে। ভূমিধসের জেরেও একাধিক জায়গায় রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ব্যহত হচ্ছে বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও ইন্টারনেট পরিষেবাও। চাষের জমিও জলমগ্ন হয়ে পড়ায় বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বর্ষার বিদায়ের সময়ে আচমকাই বঙ্গোপসাগর উপকূলে যে নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছে, তার প্রভাব ভারত ছাড়িয়ে নেপালেও পড়ছে। ইতিমধ্যেই সেখানে তুষারপাত শুরু হয়ে গিয়েছিল। তার উপরে নতুন করে ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হয়ে উঠেছে।

টানা বৃষ্টিতে ও ভূমিধসের জেরে এখনও অবধি ২১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে, এছাড়াও ২৪ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। প্রশাসনের তরফে তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ভারী বৃষ্টির জেরে পার্বত্য অঞ্চলগুলিতে যে ভূমিধস নেমেছে, তার জেরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বৃষ্টির জেরেই আপাতত অন্তর্দেশীয় বিমানগুলিও বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে, বৃষ্টির জেরে ফসলেও ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কয়েকদিন বাদেই ধান তোলার কথা থাকলেও টানা তিনদিন ধরে বৃষ্টিতে সমস্ত জমিই জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। ধান পচে গিয়ে ব্য়পক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। প্রায় কয়েক হাজার হেক্টর জমি জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে রফতানিতেও প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

একটানা বৃষ্টির জেরে নদীগুলি প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলিতে বসবাসকারীদের সুরক্ষিত জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। উদ্ধারকার্যের জন্য় প্রশাসনের তরফে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কারণেই এই ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।  এখনই বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা নেই। আগামী কয়েকদিন পার্বত্য এলাকাগুলিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলগুলিতে।

একইসঙ্গে ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে উদ্ধারকার্যে সমস্যা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ধসের জেরে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাতায়াতে সমস্য়া হচ্ছে। সে দেশের প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আগে ধসের জায়গাগুলি পরিস্কার করতে হবে। তারপরই পুরোদমে উদ্ধারকার্য শুরু করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন: Farmers Protest: আন্দোলন নিয়ে ‘সুপ্রিম’ সিদ্ধান্তের আগেই ফের ‘চলো দিল্লি’র ডাক কৃষক সংগঠনের