Farmers Protest: আন্দোলন নিয়ে ‘সুপ্রিম’ সিদ্ধান্তের আগেই ফের ‘চলো দিল্লি’র ডাক কৃষক সংগঠনের

Farmers Renew Protest Call: লখিমপুর খেরির (Lakhimpur Violence) ঘটনায় ৪ কৃষক সহ ৮ জনের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনেও আদালতের তরফে এভাবে ধর্ণা, পথ আটকে আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।

Farmers Protest: আন্দোলন নিয়ে 'সুপ্রিম' সিদ্ধান্তের আগেই ফের 'চলো দিল্লি'র ডাক কৃষক সংগঠনের
জাতপাত নিয়ে কী বলছে সুপ্রিম কোর্ট? ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 20, 2021 | 8:21 AM

নয়া দিল্লি: কৃষি আইন (Farm laws) নিয়ে আদালতে শুনানি চলার পরও পথ অবরোধ করে আন্দোলন করা আদৌই বৈধ্য কিনা, তা নিয়ে গতমাসেই প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগেই ফের একবার দিল্লি (Delhi) যাওয়ার ডাক দিলেন কৃষক নেতারা।

গত বছরের নভেম্বর মাস থেকেই কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরোধিতা করে দিল্লির তিন সীমান্তে আন্দোলন করছেন পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা (Farmers Protest)। কেন্দ্রের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনায় বসা হলেও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি এখনও। দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই বিবাদ ও আন্দোলনের সুরাহা করতেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয় এবং আদালতের নির্দেশে একটি কমিটি কৃষক আন্দোলন নিয়ে রিপোর্টও জমা দিয়েছে।

তবে আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও এখনও দিল্লির তিন সীমান্তে পথ আটকে আন্দোলন জারি রেখেছে কৃষকরা। গত মাসেই এই আন্দোলনের বৈধতা নিয়ে শীর্ষ আদালতের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court)-র তরফে সমালোচনা করে বলা হয়, “এভাবে চিরকাল পথ আটকে আন্দোলন চলতে পারে না।”

চলতি মাসের শুরুতেও অপর একটি মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছিল, তারা এই আন্দোলনের অধিকার নিয়ে খতিয়ে দেখবেন এবং আদালতে শুনানি চলা সত্ত্বেও এভাবে দীর্ঘ সময় ধরে পথ আটকে আন্দোলন চালানো বৈধ্য কিনা, তা যাচাই করা হবে।

লখিমপুর খেরির (Lakhimpur Violence) ঘটনায় ৪ কৃষক সহ ৮ জনের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনেও আদালতের তরফে এভাবে ধর্ণা, পথ আটকে আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। কেন্দ্রের তরফেও আদালতে জানানো হয় যে, লখিমপুরের মতো ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই কারণে পরবর্তী আর কোনও কৃষক আন্দোলনের অনুমতি যেন না দেওয়া হয়।

চলতি মাসের শুরুতেই জয়পুরের কিসান মহাপঞ্চায়েত(Kisan Mahapanchayat)-র তরফে দিল্লির জন্তরমন্তরে কৃষি আইনের বিরোধিতায় প্রতিবাদ কর্মসূচি চালানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কৃষক সংগঠনের দাবি, দিল্লিতে করোনাবিধি শিথিল করা হলেও ২০০ জনের আন্দোলনের কিছুতেই অনুমতি দিচ্ছে না দিল্লি পুলিশ।

কেন্দ্রের তরফে এই আবেদনেরই বিরোধিতা করা হয়। লখিমপুরের ঘটনার উদাহরণ টেনে অ্য়াটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল বলেন, “লখিমপুরে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ধরনের আন্দোলন চলতে পারে না। যখন আইনের সাহায্যে বিষয়টি নিয়ে সুরাহা খোঁজা হচ্ছে, তখন এইধরনের আন্দোলন জারি রাখা যায় না। এর কারণেই নানা দুঃখজনক ঘটনা ঘটছে।” জবাবে সুপ্রিম কোর্টের তরফেও বলা হয়েছিল, “এই ধরনের ঘটনা যখনই ঘটে, কেউ দায়ভার নেন না। প্রাণ হানি বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হলেও কেউ দায় নেন না।”