Amarinder Singh: নির্বাচনের আগেই শুরু অমরিন্দরের নতুন ‘ক্যাপ্টেন্সি’, জোটের প্রস্তাব বিজেপিকে

Amarinder Singh to Form New Party: এখনও অবধি কংগ্রেস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্তফা না দিলেও দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার কথা আগেই জানিয়েছিলেন অমরিন্দর সিং।

Amarinder Singh: নির্বাচনের আগেই শুরু অমরিন্দরের নতুন 'ক্যাপ্টেন্সি', জোটের প্রস্তাব বিজেপিকে
প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ অমরিন্দর সিংয়ের। ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 20, 2021 | 8:03 AM

চণ্ডীগঢ়: কংগ্রেসে থাকবেন না আর, সে কথা আগেই জানিয়েছিলেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh)। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)-র সঙ্গে দেখা করার পরই জল্পনা শুরু হয়েছিল তাঁর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে। মঙ্গলবার একাধিক টুইটে অমরিন্দর সিং সাফ জানিয়ে দিলেন, অন্য় কোনও দলে নয়, নিজের রাজ্যনৈতিক দলই গড়তে চলেছেন শীঘ্রই।

মুখ্য়মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই আন্দাজ করা গিয়েছিল কংগ্রেস থেকেও সম্পর্ক ছিন্ন করবেন। গত মাসের শেষভাগেই তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই সময় থেকেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়েছিল। তবে সেই জল্পনায় জল ঢেলে অমরিন্দর সিং জানিয়েছিলেন, নিজের দল গড়তেই আগ্রহী তিনি। মঙ্গলবারও একাধিক টুইটে তিনি সেই কথাই জানান। একইসঙ্গে আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে আসন নিয়ে রফা করতেও রাজি তিনি, এমনটাই জানান।

মঙ্গলবার বিকেলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য় পরামর্শদাতা রবীন ঠুকরাল অমরিন্দরের জবানিতে লেখেন, “শীঘ্রই আমার নিজস্ব দলের ঘোষণা করব, যা পঞ্জাব ও এখানকার মানুষদের জন্য কাজ করবে। বিগত এক বছর ধরে আমাদের কৃষকরা, যারা বেঁচে থাকার জন্য লড়াই চালাচ্ছে, তাদের জন্যও এই দল কাজ করবে।”

পরবর্তী টুইটেই বলা হয়, “কৃষকদের স্বার্থে যদি কৃষক আন্দোলন নিয়ে কোনও সমাধান সূত্রে পাওয়া যায়, তবে বিজেপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আগ্রহী হবে এই নতুন দল। একইসঙ্গে একই মনোভাবাপন্ন দল, যেমন শিরোমণি আকালি দল এবং ধিন্দসা ও ব্রহ্মপুরা গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক এই নতুন দল।”

এখনও অবধি কংগ্রেস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্তফা না দিলেও দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার কথা আগেই জানিয়েছিলেন অমরিন্দর সিং। অমরিন্দরের নতুন দলের কথা ঘোষণার পর কংগ্রেস থেকে এখনও কিছু বলা না হলেও রাজ্য মন্ত্রী পারগত সিং বলেন, “আমি আগেই বলেছিলাম ক্যাপ্টেন বিজেপি ও আকালি দলের সঙ্গে মিলিত হয়েছে, তিনি বিজেপি থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের দাবি জানাতেন।”

৭৯ বছর বয়সী অমরিন্দর সিং বিগত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে কংগ্রেসেই রয়েছেন। পঞ্জাবেও কংগ্রেসের অন্যতম বড় মুখ ছিলেন তিনিই। কিন্তু নভজ্যোত সিং সিধুর কংগ্রেসে প্রবেশের পর থেকেই দুই নেতার মধ্যে চরম বিবাদ শুরু হয়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ পাওয়ার পরই সিধুর ঘনিষ্ঠ বিধায়করা অমরিন্দরের ইস্তফার জন্য দলের উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। শেষমেশ অপমানিত হয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন।

তবে কংগ্রেসেই আর থাকতে চান না তিনি, তা আগেই স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন। গান্ধী পরিবারের অন্য়তম আস্থাভাজন হিসাবে এতদিন পরিচিত হলেও মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়ার পর দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি অমরিন্দর সিং। সম্প্রতিই তিনি জানিয়েছিলেন, আমি জয়ের পর চলে যেতে রাজি ছিলাম। উনি (সনিয়া গান্ধী) যদি একবার আমায় ফোন করে ইস্তফা দিতে বলতেন, তবে তাই করতাম। কারণ একজন যোদ্ধা হিসাবে আমি জানি আমার কাজ কীভাবে করতে হবে।