Sheikh Hasina: ‘জঙ্গিদের উর্বর লীলাভূমিতে পরিণত করছে দেশকে’, ৭১-র ইতিহাসের সঙ্গে আজকের মিল পাচ্ছেন হাসিনা?

Martyred Intellectuals Day: শেখ হাসিনা বলেন, "মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে জামাতে ইসলামীসহ ১৯৭১-এর পরাজিত শক্তিকে পুনর্বাসন করছে। পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের স্মারকচিহ্ন ধ্বংস করেছে। প্রিয় দেশকে জঙ্গিদের উর্বর লীলাভূমিতে পরিণত করছে।"

Sheikh Hasina: 'জঙ্গিদের উর্বর লীলাভূমিতে পরিণত করছে দেশকে', ৭১-র ইতিহাসের সঙ্গে আজকের মিল পাচ্ছেন হাসিনা?
শেখ হাসিনা।Image Credit source: Getty Image
Follow Us:
| Updated on: Dec 14, 2024 | 10:59 AM

ঢাকা: বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বিবৃতি দিলেন। তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ সেই বিবৃতি পোস্ট করেন। ১৯৭১-র ইতিহাস থেকে বাংলাদশের বর্তমান পরিস্থিতি, বিবৃতিতে সবই তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

প্রথমেই শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, “আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এদিনে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর, আল-শামস বাহিনী বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী তাদের পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবী নিধনের এই পরিকল্পনা করে।”

হাসিনা তুলে ধরেন যে মুক্তিযুদ্ধের শেষলগ্নে ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আল-বদর বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, সংস্কৃতি কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল ঢাকার মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে স্থাপিত আল-বদর বাহিনীর ক্যাম্পে। ১৪ ডিসেম্বরে নির্মম অত্যাচার করে রায়েরবাজার ও মিরপুরে তাদের হত্যা করা হয়।

কারা শহিদ হয়েছিলেন? হাসিনা তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন, “শহিদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, ডা. আলিম চৌধুরী, ডা. ফজলের রাব্বি, ডা. মোহাম্মদ মর্তুজা, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র(জিসি) দেব, অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, খোন্দকার আবু তালেব, নিজামুদ্দীন আহমদ, এস এ মান্নান(লাডু ভাই), আনম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, সেলিনা পারভিন, আবুল বাশার চৌধুরী, মুহাম্মদ আখতার সহ আরও অনেকে।”

বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেই হাসিনা লিখেছেন, “জাতির এক গভীর সংকটময় মুহূর্তে এ বছর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হচ্ছে। স্বাধীনতা-বিরোধী এবং বুদ্ধিজীবী নিধনকারীদের দোসররা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত আওয়ামি লীগ সরকারকে হটিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সাধারণ মানুষের উপর অমানবিক নিপীড়ন- নির্যাতন চালাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে জামাতে ইসলামীসহ ১৯৭১-এর পরাজিত শক্তিকে পুনর্বাসন করছে। পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের স্মারকচিহ্ন ধ্বংস করেছে। প্রিয় দেশকে জঙ্গিদের উর্বর লীলাভূমিতে পরিণত করছে।”

হাসিনা বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির এসব অপকর্ম বীর বাঙালি কোনদিন মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না। এদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত এবং শান্তি কামনা করছি।”