Bangladesh News: তুঙ্গে উঠেছিল প্রতিবেশীর সঙ্গে জমি বিবাদ, থানায় যেতেই এল যুবকের মৃত্যু খবর, খুনের মামলা রুজু পরিবারের
Police Case: জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার নজির ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জুম্মানে তীব্র বাগবিতণ্ডা হয়েছিল। জুম্মান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: এক ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে রহস্যে দানা বেঁধেছে। এবং সন্দেহের তির সরাসরি গিয়ে পুলিশের গায়ে বিঁধেছে। ইতিমধ্যেই মৃতের দাদা এই মৃত্যুর ঘটনায় মামলা রুজু করেছেন। মৃতের দাদা মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন এবং তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এবার ঘটনা প্রসঙ্গে ফিরে আসা যাক। নিহত নজির বাংলাদেশের (Bangladesh) আহমেদ উপজেলা সদরের নিজসরাইল গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে বসত বাড়ি নিয়ে কয়েক বছর ধরেই নজির ও তাঁর প্রতিবেশী জুম্মান মিয়ার বিরোধ চলছিল। বিবাদ এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে দুপক্ষের মধ্যেও মামলাও চলছিল। স্থানীয়দের দাবি, জুম্মান এলাকায় বখাটে ছেলে হিসেবেই পরিচিত। পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে বেশকিছু প্রভাবশালীর যোগ থাকায় মামলার নিষ্পত্তি না করে সে একরোখা মনোভাব দেখাচ্ছিল।
জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার নজির ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জুম্মানে তীব্র বাগবিতণ্ডা হয়েছিল। জুম্মান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরিস্থিতি এমন হয় যে রাতের বেলা জুম্মান প্রধান দরজা খুলে নজিরের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। নজিরকে তাঁর বাড়িতেই মারধর ও হেনস্থা করা হয়েছিল। স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নজির ও জুম্মানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। দুজনকে হাসপাতালের পাঠানো হয়েছিল। তবে সেই সময়ই নজির অসুস্থ বোধ করে, হাসাপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তবে নজিরের পরিবারের দাবি, থানায় যাওয়ার সময় তাদের ছেলে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। থানায় গিয়ে কী এমন হয়েছে যে তাঁর হঠাৎ মৃত্যু হয়েছে? সরাইল থানার ওসি আসলাম হোসেন প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, “জুম্মান অসুস্থ বোধ করছিল তাই নজিরের সঙ্গে তাঁকে হাসাপাতালে পাঠানো হয়। তবে পথেই নজিরের বুকে ব্যথা হয় এবং হাসাপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।” তবে পুলিশের এই বক্তব্য মানতে চায়নি মৃতের পরিবার। ঘটনার তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন Longest-lasting Covid: রোগীর দেহে ৫০৫ দিন বাসা বেঁধেছিল করোনা ভাইরাস! গবেষণায় প্রকাশ অবাক করা তথ্য