Student Suicide: ভরা ক্লাসরুমে দাঁড় করিয়ে বকাবকি দিদিমণির, ইঁদুরের বিষ কিনে যা করল ওই ছাত্রী…
Bangladesh: শিবপুরের জয়মঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা প্রভা শিবপুরেরই একটি স্কুলে পড়াশোনা করত। তার সহপাঠীদের কথায়, স্কুলের যে ড্রেস তার সঙ্গে এদিন প্রভা ট্রাউজার পরে আসে।
ঢাকা: স্কুলের পোশাকে ছিল ট্রাউজার। শিক্ষিকার নজরে পড়তেই ছাত্রী ভরা ক্লাসরুমে দাঁড় করিয়ে বকাবকি করেন বলে অভিযোগ। আর সেঅ অভিমানে ১৩ বছরের ওই ছাত্রী নিজেকে শেষ করে দেয় বলে দাবি পরিবারের। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের নরসিংদীর শিবপুরে। অভিযোগ, ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে নেয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী প্রভা আখতার। এরপরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
শিবপুরের জয়মঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা প্রভা শিবপুরেরই একটি স্কুলে পড়াশোনা করত। তার সহপাঠীদের কথায়, স্কুলের যে ড্রেস তার সঙ্গে এদিন প্রভা ট্রাউজার পরে আসে। ক্লাসের শুরুর দিকে কারও নজরে তা পড়েনি। পরে বেলা ৩টে নাগাদ সমাজবিজ্ঞানের দিদিমণি ক্লাস নিতে আসেন। তিনি দেখেন, এক ছাত্রী উপরে স্কুলের কামিজ পরলেও, তার সঙ্গে ট্রাউজার পরে এসেছে।
অভিযোগ, এরপরই প্রভাকে সকলের মাঝে দাঁড় করিয়ে বকাবকি করেন দিদিমণি। হাতে বেত দিয়ে মারেন এবং গালেও চড় মারেন বলে অভিযোগ। সব বন্ধুদের সামনে এভাবে বকাবকি মানতে পারেনি ওই অভিমানী ছাত্রী। এরপরই স্কুল ছুটির পর শিবপুর বাজারের একটি দোকানে যায় প্রভা।
শিবপুর থানার পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বাজারের দোকান থেকেই ইঁদুর মারার বিষ কিনেছিল অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী। সেটি খেয়ে থানায় গিয়ে হাজির হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সে থানায় গিয়ে দাবি করে, দিদিমণি মারধর করেছেন। তাই বিষ কিনে খেয়ে নিয়েছে। এরপরই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ স্কুলে খবর দেয়। নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালেও। কিন্তু ওই ছাত্রীকে বাঁচানো যায়নি।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আরএমও জানান, প্রভা নামের ওই স্কুলছাত্রীকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, ততক্ষণে তার শরীর নিথর। তাই চিকিৎসকদের কিছুই করার ছিল না। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পড়ুয়াদের শাসন করার ক্ষেত্রে তারাও বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনেই চলে। এদিন ক্লাসরুমে এমন কী হল, যার জন্য এক ছাত্রী নিজেকে শেষ করে দিল, তা খতিয়ে দেখারও আশ্বাস দিয়েছে তারা।