Rohingya Death: খারাপ আবহাওয়া, বন্দি হয়েও খাদ্য ও জলের অভাবে মৃত ৭ রোহিঙ্গা
Bangladesh: ২০১৭ সালে মায়ানমার সেনাবাহিনীর ভয়ে হাজারে হাজারে রোহিঙ্গা মুসলিম সেদেশ থেকে পালাতে শুরু করেছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে তারা প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
ইয়াঙ্গুন: দক্ষিণী উপকূলে একটি নৌকা থেকে ধৃত ৬৫ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ৭ জন ক্ষুধা ও তৃষ্ণাতে মারা গিয়েছেন, শুক্রবার সেদেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম এমনটাই জানিয়েছে। মায়ানমারের সংবাদপত গ্লোবাল নিউ লাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছেষ, সোমবার বাণিজ্যিক কেন্দ্র ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে পিয়াপন শহরের কাছে একটি নৌকা আটক করেছিল মায়ানমারের বাহিনী। মায়ানমারের সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে, ‘৪ জন পাচারকারী সহ পাচার হওয়া ৬৫ জন বাঙালিকে আটক করা হয়েছে।’
ওই সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ৪ মহিলা ও ৩ জন পুরুষ সহ মোট ৭ জন খারাপ আবহাওয়া এবং খাবার ও জলের অভাবে মারা গিয়েছেন। সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ৬ জনের এখনও চিকিৎসা চলছে এবং ধৃত ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানিয়েছে মায়ানমারের ওই সংবাদপত্র।
২০১৭ সালে মায়ানমার সেনাবাহিনীর ভয়ে হাজারে হাজারে রোহিঙ্গা মুসলিম সেদেশ থেকে পালাতে শুরু করেছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে তারা প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুন, ধর্ষণ ও রাহাজানির একাধিক অভিযোগও সামনে এসেছে। মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে নাগরিকত্ব, শিক্ষার অধিকার ও চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত।
প্রত্যেক বছর হাজারে হাজারে রোহিঙ্গারা মাসব্যাপি নৌকা যাত্রা করে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে। এমনকী পাচার চক্রও চলে। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস অবধি ছোট ট্রলারের জন্য সমুদ্র অনেক বেশি নিরাপদ। সেই কারণে পাচারকারীরা এই সময়ে যাবতীয় পাচারকাজ করে থাকে। মায়ানমারে পার্শ্ববর্তী মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ রোহিঙ্গাদের সবথেকে বেশি পছন্দের। কারণ সেখানে বিশাল সংখ্যায় রোহিঙ্গারা বসবাস করেন।