Afghanistan Blast: আফগানিস্তানের মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত প্রবীণ ধর্মগুরু আনসারি

Afghanistan: উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন আগে আফগানিস্তান পুনর্দখলের বর্ষপূর্তি উদযাপন করার দু’দিন রাজধানী কাবুলের কোটেল খৈরখানা মাদ্রাসাতে সন্ধের প্রার্থনা চলার সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছিল।

Afghanistan Blast: আফগানিস্তানের মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত প্রবীণ ধর্মগুরু আনসারি
ছবি: গুগল থেকে সংগৃহীত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 02, 2022 | 6:02 PM

কাবুল: গত বছর অগস্ট মাসেই আফগানিস্তান শাসনভার ছিনিয়ে নিয়েছিল তালিবান। তারপর থেকে সেদেশে একের পর এক নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এবার আফগানিস্তানের অন্যতম পরিচিত ধর্মগুরু মুজিব-উল রহমান আনসারির শুক্রবার এক বিস্ফোরণের ঘটনায় মারা গিয়েছেন। আফগানিস্তানের পশ্চিমী শহর হেরাটে গুজরগাহ মসজিদে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিস্ফোরণের ঘটনায় সব মিলিয়ে মোট ২০ জন মারা গিয়েছেন। গুজরগাহ মসজিদে বিস্ফোরণে ২০০ জনের বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুরের প্রার্থনার সময় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুক্রবার দুপুরের প্রার্থনায় প্রচুর মানুষ মসজিদে প্রার্থনা করতে যান। সেই সময় বিস্ফোরণ হওয়ায় প্রাণহানির সম্ভাবনা অনেকেটাই বেড়ে গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

মুজিব-উল রহমান আনসারি আফগানিস্তানে অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন ধর্মগুরু। পশ্চিমী দেশগুলির সমর্থনে বিগত ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে যে সরকার চলছে, তার নিন্দা তাঁকে বরাবর সরব হতে দেখা গিয়েছে। এমকী আফগানিস্তানের বর্তমান শাসক তালিবানের সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। তালিবান মুখপাত্র জ়াবিউল্লাহ মুজাহিদ আনসারির মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন। এখনও কোন সংগঠন বা জঙ্গিগোষ্ঠীর তরফে এই আক্রমণের দায় স্বীকার করা হয়নি।

উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন আগে আফগানিস্তান পুনর্দখলের বর্ষপূর্তি উদযাপন করার দু’দিন রাজধানী কাবুলের কোটেল খৈরখানা মাদ্রাসাতে সন্ধের প্রার্থনা চলার সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছিল। সেই বিস্ফোরণের ঘটনায় ২১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। মাদ্রাসাতে হওয়া বিস্ফোরণে ৪০ জন আহত হয়েছিলেন। তালিবানে হাতে শাসনভার যাওয়ার পর থেকে সেদেশের মহিলাদের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানের ছেলেদের স্কুল খুলে দেওয়া হলেও মহিলাদের স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে নীরব থেকেছে তালিবান। তারমধ্যে একের পর এক আক্রমণের ঘটনায় তালিবান শাসকদের ওপর চাপ বাড়ছে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।