Bangladesh: তীব্র দাবদাহের মধ্যে লোড শেডিং-এর খেলা, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে ধ্বস্ত বাংলাদেশে বন্ধ প্রাথমিকের পঠন-পাঠন
Bangladesh Power disaster: একে চলছে অসহণীয় গরমের দাপট। তার সঙ্গে বেড়েই চলেছে লোড শেডিং-এর সমস্যা। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বন্ধ করে দেওয়া হল প্রাথমিক স্কুলের পঠন-পাঠন।
ঢাকা: নজিরবিহীন বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে ভুগছে বাংলাদেশ। একে চলছে অসহণীয় গরমের দাপট। তার সঙ্গে লোড শেডিং-এর সমস্যা জুড়ে এক প্রকার বিপর্যস্ত বাংলাদেশের জনজীবন। তবে এই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার এখনই কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং, লোডশেডিং আরও বাড়বে বলে জানাল স্বয়ং বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। রবিবার (৪ জুন) বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, এই অবস্থা আগামী দুই সপ্তাহ ধরে চলবে। এরপর লোডশেডিং পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে।
তীব্র গরমের মধ্যে এই ব্যাপক মাত্রার লোড শেডিং-এর জন্য দেশবাসীর কাছে দুঃখও প্রকাশ করেছেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, লোডশেডিং বেড়ে গেছে। নসরুল হামিদ বলেন, “হিটওয়েভ চলছে, ফলে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে। জ্বালানির জোগান দিতে কষ্ট হচ্ছে। কয়েকটি কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন অর্ধেক হয়ে গিয়েছে।” প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ২,৫০০ মেগাওয়াট লোড শেডিং হচ্ছে। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন তীব্র গরমের মধ্যে এই লোড শেডিং-এর ফলে পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ উদপাদনের জন্য গ্যাস, কয়লা এবং তেলের জোগান দিতে সময় লাগছে বলে জানান তিনি। ফলে লোড শেডিংয়ের পরিমাণ আরও বেড়েছে। তবে তিনি জানিয়েছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলির জন্য দ্রুত কয়লা আনার চেষ্টা চলছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিন।
এদিকে, গরম এবং ব্যাপক লোড শেডিংয়ের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির পঠনপাঠন বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। সারাদেশে যে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে এবং সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে লোড শেডিং, সেই কারণেই ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন জানিয়েছেন, ৫ জুন থেকে ৮ জুন পর্যন্ত দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন বন্ধ থাকবে।
গত কয়েকদিন ধরে রাজধানী ঢাকা-সহ গোটা বাংলাদেশ জুড়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। আসন্ন সপ্তাহ জুড়েই এই তাপপ্রবাহের খেলা চলতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া দফতর। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছেন মানুষ। কাঠফাটা রোদে বাইরে বের হলে শরীর যেন পুড়ে যাচ্ছে। অনেকেই এই তীব্র দাবদাহে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। পাশাপাশি চলছে অসহনীয় মাত্রার লোডশেডিং। কবে এই অবস্থা থেকে মুক্তি মিলবে, সেই দিকেই তাকিয়ে বাংলাদেশের মানুষ।