Modi-Hasina Meet: সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, কী কী বিষয় নিয়ে মোদী-হাসিনা আলোচনা হতে পারে?

Modi-Hasina: সেখানে রাতারাতি জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন সরকারি পদক্ষেপ সেই জল্পনাতে আরও জোরাল ইন্ধন দিয়েছে।

Modi-Hasina Meet: সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, কী কী বিষয় নিয়ে মোদী-হাসিনা আলোচনা হতে পারে?
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 31, 2022 | 1:25 PM

নয়া দিল্লি: সেপ্টেম্বর মাসেই ৩ দিনের ভারত সফরে আসছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। ৫-৮ সেপ্টেম্বর ভারতে থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ভারত সফরে এসেছে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে শেখ হাসিনার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও একান্ত বৈঠকের পাশাপাশি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গেও তাঁর দেখা হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। তিস্তা জলবন্টন চুক্তির ক্ষেত্রে মমতার মতামত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৯ সালে শেষবার ভারতে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেই দাবি করছেন অনেকে। সেখানে রাতারাতি জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন সরকারি পদক্ষেপ সেই জল্পনাতে আরও জোরাল ইন্ধন দিয়েছে। যদিও অর্থনৈতিক সংকট পরিস্থিতির কথা অস্বীকার করেছে শেখ হাসিনা সরকার। এই আবহে দীর্ঘ তিন বছর পর হাসিনার এই ভারত সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। মোদী-হাসিনা সাক্ষাতে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক…

  1. মোদীর সঙ্গে আলোচনায় পরস্পরকে সামরিক সহায়তার প্রসঙ্গ উঠে আসতে পারে। একদিকে ছ’মাস ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অন্যদিকে তাইওয়ান নিয়ে চিনের চোখ রাঙানি, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সেই নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
  2. ধাক্কার মুখে পড়া বাংলাদেশের অর্থনীতিকে মোদী সরকার কতটা সাহায্য করে, সেই নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আর্থিক সাহায্যের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএমফের দ্বারস্থ হয়েছে বাংলাদেশ সরকার। চিন থেকে অর্থনৈতিক সাহায্য নিয়ে শ্রীলঙ্কার যা পরিস্থিতি, তাতে বেজিংয়ের থেকে সাহায্য নেওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকি রয়েছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকটাই ভারতের মুখাপেক্ষী। ভারত সরকার যেভাবে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আইএমফের মধ্যস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, বাংলাদেশ সরকারও ভারত থেকে সেই সাহায্য চাইছে। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হতে পারে।
  3. নেপাল ও ভুটানে যাওয়ার জন্য ভারতীয় সড়কপথ ব্যবহার করতে চায় বাংলাদেশ। সেই নিয়ে মোদী-হাসিনা কথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে নব-নির্মিত পদ্মা সেতুকে বন্দর থেকে পণ্য পরিবহণের কাজে ব্যবহার করতে আগ্রহী ভারত। আলোচনায় সেই দিকগুলিও উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।