কোরবানি ঈদের পর কঠোর লকডাউন হবে বাংলাদেশে: প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়াতে ৭ দিনের জন্য লকডাউন শিথিল করেছে বাংলাদেশ সরকার।
ঢাকা: বাংলাদেশে মৃত্যু মিছিল থামছে না। লাফিয়ে বাড়ছে করোনা (COVID 19) আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টাতেও আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। এমতাবস্থায় কোরবানি ঈদকে মাথায় রেখে শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়াতে ৭ দিনের জন্য লকডাউন শিথিল করেছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু কোরবানি ঈদের পর কঠোর লকডাউন হবে। এ কথাই সাফ জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
শনিবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে ফরহাদ বলেন, “সকলকে মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বিধিনিষেধ কঠোর করে করোনা মোকাবিলা করা হবে। চলাফেরার ওপর বিধিনিষেধ শিথিল হলেও স্বাস্থ্যবিধির ওপর কোনও শিথিলতা নেই। ঈদের পর কল কারখানা বন্ধ রেখে কঠোর লকডাউন করা হবে। তাহলে ভাল কন্ট্রোল হবে।”
বাংলাদেশে জুন মাসের শেষের দিক থেকেই সংক্রমণ রুখতে বিধিনিষেধ কায়েম হয়েছিল। তারপর করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জেরে ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশে কঠোর লকডাউন চলছে। প্রথমে ৭ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকার কথা ছিল। কিন্তু সংক্রমণ বাগে না আসায় ১৪ জুলাই পর্যন্ত তা বর্ধিত করে হাসিনা প্রশাসন। মূলত শ্রমজীবী মানুষের কথা ভেবেই ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল হয়েছে সে দেশে। কিন্তু যে হারে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাতে লকডাউন শিথিল হওয়ায়, তার উল্টো প্রভাব পড়বে না তো? উঠছে সে প্রশ্নও। আরও পড়ুন: দাম বাড়ল ঘি, আটা, চিনির, আর্থিক অনটন সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে পাকিস্তান