দাম বাড়ল ঘি, আটা, চিনির, আর্থিক অনটন সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে পাকিস্তান
শুধুমাত্র খাদ্যদ্রব্যই নয়, পেট্রলের দামও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। ২০২০-এর দারিদ্র্যের হারও একধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে সে দেশে। আর আর্থিক অনটন সামাল দিতে এ বার ব্যাপক হারে মূল্যবৃদ্ধির পথে হাঁটছে ইমরান খানের সরকার। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর দাম একধাক্কায় বাড়ানো হল অনেকটাই। সেই সব খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ঘি, চিনি, আটা। পাকিস্তানের মন্ত্রিসভার অর্থনীতি সংক্রান্ত কমিটি এই মূল্যবৃদ্ধিতে সায় দিয়েছে। মূলত ভর্তুকি ও বাজারের দামের মধ্যে ফারাক বাড়তে চলেছে পাকিস্তানে।
বর্ধিত দাম অনুযায়ী ঘি-এরদাম বেড়েছে ৫৩ শতাংশ। আগে প্রতি কেজি ঘি পাওয়া যেত ১৭০ টাকায়, সেই দাম বেড়ে হয়েছে ২৬০ টাকা। অর্থাৎ একধাক্কায় ৯০ টাকা দাম বেড়েছে। আগে ২০ কেজি আটার দাম ছিল ৮০০ টাকা, সেটাই এ বার বেড়ে হল ৯৫০ টাকা। এ ছাড়া, চিনির দাম ৬৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে প্রতি কেজিতে ৮৫ টাকা, অর্থাৎ ২৫ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে।
শুধুমাত্র খাদ্যসামগ্রী নয়, ইমরান সরকার পেট্রলের দামও বাড়িয়েছে অনেকটাই। বর্তমানে সে দেশে লিটার প্রতি পেট্রলের দাম ১১৮.০৯ টাকা ও এক লিটার ডিজেলের দাম ১১৬.৫ টাকা। পাক মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুর জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলেরদাম বাড়ছে তাই দাম বাড়ানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। ২০২০-তে পাকিস্তানে দারিদ্র্যের হার ৪.৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫.৪ শতাংশ। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই তথ্য সামনে এসেছে। আরও পড়ুন: প্রায় ২ দশক পর এই প্রথম, আমেরিকায় মানবদেহে ছড়াতে শুরু করল মাঙ্কিপক্স