AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh: ‘অপরাধীর যে দলেরই হোক, সাজা পাবেই’, জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশ আইনমন্ত্রী

Cumilla: বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়ে দিলেন, তাণ্ডবের ঘটনায় অপরাধী যে দলেরই হোক, তার বিচার হবেই। রবিবার ফের একবার বাংলাদেশ সরকারের 'জিরো টলারেন্স' মানসিকতা স্পষ্ট করলেন তিনি।

Bangladesh: 'অপরাধীর যে দলেরই হোক, সাজা পাবেই', জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশ আইনমন্ত্রী
কী বলছেন বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক?
| Edited By: | Updated on: Oct 24, 2021 | 3:50 PM
Share

ঢাকা : কুমিল্লার পুজো মণ্ডপে যে তাণ্ডব চলেছিল, তার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বাংলাদেশে। বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হয়েছে। তাণ্ডবের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। কুমিল্লার ঘটনায় ধৃত ইকবাল হোসেনকে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে উচ্চ পর্যায়ের এক তদন্তকারী দল। এরই মধ্যে বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়ে দিলেন, তাণ্ডবের ঘটনায় অপরাধী যে দলেরই হোক, তার বিচার হবেই। রবিবার ফের একবার বাংলাদেশ সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ মানসিকতা স্পষ্ট করলেন তিনি।

রবিবাসরীয় সকালে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনে গিয়েছিলেন আনিসুল হক। সেখানেই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিচার হবেই। সে যে দলেরই হোক, যে গোষ্ঠীরই হোক, যে জাতিরই হোক… অপরাধীর পরিচয় একটাই, সে অপরাধী। তার বিচার হবেই।”

এই প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কথাও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশের মানুষকে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাস করতে শিখিয়েছেন। সে জন্য বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক সাম্প্রদায়িকতার দিকে ঝোঁকেন না। যদি কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থ পূরণের জন্য অন্যায় করে সেটিও অন্যায় এবং তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

উল্লেখ্য, গোটা বাংলাদেশে যখন এই তাণ্ডবের পরিবেশ কঠোর হাতে দমন করার চেষ্টা করছে শেখ হাসিনার সরকার, তখন বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন পাল্টা আঙুল তোলেন আওয়ামী লিগের দিকেই। বিএনপি নেতার বক্তব্য, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডবের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যাদের ধরা হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশের শাসক দলের লোক। আর এরই মধ্যে বাংলাদেশ আইনমন্ত্রীর তরফ থেকে এ হেন বার্তা নিঃসন্দেহে ওপার বাংলার শান্তি পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার কাজ প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে বলে মত কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের।

এর আগে গতকাল এক সাংবাদিক বৈঠকে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, “ভারতের অনেকেই বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন। অনেকে আবার উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা ঘটনা প্রচার করেছেন। বাংলাদেশে সাধারণ জনগণ শান্তিতে বসবাস করছেন। মোমেনর দাবি. বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনে আর্থিক সহায়তা করে বাংলাদেশ সরকার। এমন উদাহরণ খুব একটা দেখতে পাওয়া যায় না।”

২০২৩ সালে বাংলাদেশে জাতীয় সরকার গঠনের নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে মাথায় রেখেই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনকে মাথায় রেখে কোনও বিশেষ গোষ্ঠী দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে, তবে যেকোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার প্রস্তুত।

আরও পড়ুন : Bangladesh: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে পৃথিবীর সেরা বাংলাদেশ, বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন