জাতীয় শোক দিবসে ইচ্ছে করে ‘ভুয়ো’ জন্মদিন পালন করেন খালেদা জিয়া?
মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে শুরু করে একাধিক দফতরের পরিচালকদের এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় শোক দিবস ১৫ অগস্ট। কারণ সেদিনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিহত হতে হয়েছিল। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দাবি করেন, তাঁর জন্মদিন ১৫ অগস্ট। সে দিন ঘটা করে জন্মদিন পালনও হয় তাঁর। জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন পালন নিয়ে রাজনৈতিক তরজা আগে থেকেই ছিল বাংলাদেশে। একটি আবেদন জমা পড়ায় এ বার খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত সব নথি চাইল বাংলাদেশের একটি হাইকোর্ট।
মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে শুরু করে একাধিক দফতরের পরিচালকদের এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। খালেদা জিয়ার জন্মদিন বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন। তাই জাতীয় শোক দিবসের ভাব ‘বিকৃত’ হয়েছে কি না, তা জানতে এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিএনপি অবশ্য এই আবেদনে রাজনৈতিক রং লাগানোর অভিযোগ করেছে।
বিভিন্ন নথিতে খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ নিয়ে বিতর্ক বহুদিনের। আবেদনে বলা হয়েছে, এসএসসির নম্বরপত্রে খালেদা জিয়ার জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। বিবাহ নিবন্ধনে জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে ৯ অগস্ট, ১৯৪৪। ২০০১ সালের পাসপোর্টে জন্ম তারিখ ৫ অগস্ট ১৯৪৬। চলতি বছরের মে মাসে তার করোনাভাইরাস পরীক্ষার নথিতে জন্মতারিখ ৮ মে, ১৯৪৬। কিন্তু তিনি প্রত্যেকবার জন্মদিন পালন করেন ১৫ অগাস্ট অর্থাৎ জাতীয় শোক দিবসে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য এ বারও সৌদিতে হজের দরজা বন্ধ