Khaleda Zia: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, ফের সিসিইউ-তে বিএনপি চেয়ারপার্সন
BNP: দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, মধুমেহ, কিডনি, লিভার ও হার্টের সমস্য়ায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। ২০২১ সালে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থা গুরুতর হয়। একাধিকবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পুনরায় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে বিএনপি।
ঢাকা: ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটল বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia)। শুক্রবার ফের তাঁকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (CCU) স্থানান্তর করা হয়েছে। এই নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহে তিনবার CCU-তে স্থানান্তরিত করা হল খালেদা জিয়াকে। বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসার জন্য গঠিত হয়েছে ১৯ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড। অন্যদিকে, খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পুনরায় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে বিএনপি।
গত ৯ অগস্ট রাতে ঢাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। তারপর দু-মাস হতে চললেও এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সিসিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছিল বলে গত বুধবারই জানানো হয়েছিল। কিন্তু, এদিন বিকাল সওয়া ৫টা নাগাদ ফের তাঁকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, মধুমেহ, কিডনি, লিভার ও হার্টের সমস্য়ায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। ২০২১ সালে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থা গুরুতর হয়। একাধিকবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। অতি দ্রুত খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট (প্রতিস্থাপন) করা দরকার বলে মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা বেশ কয়েকবার সাংবাদিক সম্মেলনে করে জানিয়েছেন। কিন্তু এই ধরনের লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট বাংলাদেশে সম্ভব নয়। এর জন্য বিদেশে যেতে হবে। কিন্তু, দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন। ফলে তাঁর বিদেশে যাওয়ার অনুমতি নেই। তবে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন জানিয়েছে খালেদা জিয়ার পরিবার। সম্প্রতি বিএনপি-র তরফেও সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।