ঢাকা: বিএনপির সভানেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের রাজনীতি সরগরম। বিরোধী বিএনপি ও শাসক আওয়ামীলীগের মন্তব্য ও পাল্টা মন্তব্যে উত্তপ্ত বাংলাদেশের রাজনীতি। বিএনপির অভিযোগ প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই জোর করে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। সিরোসিস অব লিভারের মত মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হলেও, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কোনও বন্দোবস্তই করছে না সরকার, এই অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে বিরোধী বিএনপি। বিএনপির দাবি, তাদের দলের সর্বোচ্চ নেত্রীকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো প্রয়োজন, কিন্তু সরকার সেই অনুমতি দিচ্ছে না।
শাসক-বিরোধী এই চাপানউতোরের মাঝেই, বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল ইসলামের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না সরকার। পরিকল্পিতভাবে বিএনপি সভানেত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, অভিযোগ ফখরুলের।
বুধবার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি নিয়ে ছিল বিএনপি। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমি পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, চিকিৎসার অভাবে যদি কোন দূর্ঘটনা ঘটে অথবা খালেদা জিয়ার মৃত্যু হয় তবে প্রত্যেকে বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হবে।” ফখরুল ইসলামের অভিযোগ “আইনের অজুহাত দিয়ে মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে। বিএনপি নেত্রী এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন, তিনি কঠিন রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসকরা বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এই অবস্থায় নানা অজুহাতে তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। আইন কখনই মানুষের জীবনের ঊর্ধ্বে নয়। দেশের গণতন্ত্র রক্ষা ও উন্নয়নে খালেদা জিয়ার অবদানের কথা মাথায় রেখে তাকে বিদেশে পাঠানো প্রয়োজন।”
এদিন দলীয় কর্মসূচি থেকে শেখ হাসিনা সরকারকেও করা আক্রমণ করেন ফখরুল ইসলাম। গণতন্ত্র হত্যা দিবসের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এই দিনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে অবৈধ সরকার তৈরি করার মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। আজকের এই দিনটি আমরা চির স্মরণীয় করে রাখতে চাই, কারণ এদিন প্রহসনের নির্বাচন করা হয়েছিল। দেশের সব রাজনৈতিক দলই ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে রাজি হয়। এমনকি ভোটাররাও নির্বাচনের দিন ভোট দিতে যাননি।”
আরও পড়ুন : Kolkata Safe Home: কলকাতায় কোভিড ‘সুনামি’, আবারও শহরে চালু ৩টি সেফ হোম