ঢাকা: বাংলাদেশে ঘটেছে ভয়াবহ এমভি অভিযান ১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। এই ঘটনায় অনেকেই মারা গিয়েছেন, অনেকেই নিখোঁজ ছিলেন। লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিয়ে অনেক দিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্চিল সরকার। গঠন করা হয়েছিল দুটি তদন্ত কমিটি। এবার ওই দুই কমিটির রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তর গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি জানিয়েছে ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুন লাগে এবং তা লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, ইঞ্জিনে ত্রুটি ছিল এবং অনুমতি না নিয়ে লঞ্চটির ইঞ্জিন বদল করা হয়েছিল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, লঞ্চের গতি বাড়াতে নৌপরিবহণ মন্ত্রকে অনুমোদন ছাড়াই উচ্চ ক্ষমতার ইঞ্জিন লাগানো হয়েছিল এবং ইঞ্জিটি ছিল পুরানো।
নতুন ইঞ্জিন বসানোর পর সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের তত্ত্বাবাধনে পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
বেশ কয়েকদিন আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও এখনও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গতকাল ঢাকায়, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গিয়েছেন একজন। এই নিয়ে ওই বিশেষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনজনের মৃত্যু হল। গতকালে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৭।
এম ভি অভিযান লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পৃথকভাবে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন। তদন্তকমিটির ওপর দুর্ঘটনার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিশ্লেষণ করার দায়িত্ব ছিল। ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন, “ইঞ্জিনের কারণেই ওই লঞ্চে আগুন লেগেছিল। তবে ইঞ্জিন থেকে কীভাবে আগুন লাগল, সেই কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশের ঝালকাঠিতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এক যাত্রীবাহী লঞ্চে রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ অভিযান–১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। তিনতলা ওই লঞ্চে প্রায় এক হাজার যাত্রী ছিল। অভিযান লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও স্পষ্ট করে জানা না গেলেও লঞ্চের ইঞ্জিনের ঘর থেকেই আগুন লেগেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশের নৌপরিবহন মন্ত্রকের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রাথমিক তদন্ত উঠে এসেছিল, যে লঞ্চটিক ইঞ্জিনে সমস্যা ছিল।
আরও পড়ুন: Russia Accident: ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা রাশিয়ায়, মৃত ৫, আহত ২১