Sheikh Hasina in India: মোদীর আমন্ত্রণে দুদিনের সফরে ভারতে শেখ হাসিনা

Sheikh Hasina in India: টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরেই ভারতে এলেন শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২১ জুন), নয়া দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বিশেষ উড়ান। তাঁকে ভারতে স্বাগত জানান ভারতের বিদেশ ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং।

Sheikh Hasina in India: মোদীর আমন্ত্রণে দুদিনের সফরে ভারতে শেখ হাসিনা
সাস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতে স্বাগত জানানো হল বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 21, 2024 | 8:44 PM

ঢাকা ও নয়া দিল্লি: টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরেই ভারতে এলেন শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২১ জুন), নয়া দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বিশেষ উড়ান। তাঁকে ভারতে স্বাগত জানান ভারতের বিদেশ ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং। ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন হাসিনা। তারপর থেকে বিদেশ যাত্রা বলতে থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে, আর ভারতকে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণে। সেই হিসেবে, চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, প্রথম দ্বিপাক্ষিক বিদেশ সফরের জন্য ভারতকেই বেছে নিলেন বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী। হাসিনার এই সফরকে, ‘একে অপরের প্রতি প্রগাঢ় বন্ধুত্বের নিদর্শন’ হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ সরকার।

বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর আমন্ত্রণেই এই সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২১ ও ২২ জুন, এই দুদিন ভারতে থাকছেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। সফরের প্রথমদিন শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। ২২ জুন সকালে, নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে। তারপর, শেখ হাসিনা যাবেন রাজঘাটে, শ্রদ্ধা জানাবেন মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে। এরপর, হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকের পর এক দুই যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা রয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার। এছাড়া, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে এক রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজেরও আয়োজন করেছে মোদী সরকার।

২২ জুন বিকেলে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর শেখ হাসিনা ফের যাবেন রাষ্ট্রপতি ভবনে। সেখানে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসবেন বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী। শনিবার সন্ধ্যায়, বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ও তাঁর সফরসঙ্গীরা।

হাসিনার এই সফরে, দুই দেশের মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনা হবে। ১২ থেকে ১৪টি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। এর মধ্যে যেসব চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়েছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটির নবায়ন করা হতে পারে। আলোচনায় গুরুত্ব পাবে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়গুলি। সেই সঙ্গে কলম্বো সিকিওরিটি কনক্লেভে বাংলাদেশের সদস্য হওয়া, তিস্তা মহাপ্রকল্প, গঙ্গা চুক্তির নবায়ন, মাতারবাড়ীর গভীর সমুদ্রবন্দরের সর্বোচ্চ ব্যবহার, দ্বিপাক্ষিয় ভিসা প্রদান, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট, উপ-আঞ্চলিক বিদ্যুৎ সহযোগিতা, জাপানের বিগ-বি পরিকল্পনা, কানেকটিভিটি, জ্বালানি, রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে দুই দেশের সহযোগিতার বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা হবে।

মহাকাশ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ডিজিটাল অর্থনীতির মতো বিষয়গুলিতে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দুই রাষ্ট্রনেতার সর্বশেষ বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলির অগ্রগতিও পর্যালোচনা করবেন মোদী ও হাসিনা। সীমান্ত এলাকায় হত্যা, তিস্তার জল বণ্টন চুক্তি ও ঋণ সহায়তার মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা চায় বাংলাদেশ। ব্রিকস গোষ্ঠীর সদস্য হতে চায় বাংলাদেশ। সেই বিষয়ে ভারত যাতে কোনও আপত্তি না করে, সেই বিষয়েও আলোচনা চায় ঢাকা।